নিজস্ব প্রতিবেদক
লৌহজংয়ের মৌছামান্দ্রায় মাদক বিক্রিতে বাঁধা দিতে গিয়ে এক যুবক ও তার বন্ধু গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত যুবক মোঃ রাকিব হোসেনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথায় ও পায়ের অংশে একাধিক চাপাতির আঘাত লেগেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাকিবের বন্ধু জুয়েল হাতের আঙ্গুলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে শবে বরাতের আগের রাতে অর্থাৎ গত রবিবার রাত ৮টার দিকে। গত সোমবার এ বিষয়ে লৌহজং থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ দায়েরের পর লৌহজং থানার একজন এস.আই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করেন লৌহজং থানা পুলিশ। এ ঘটনার পরপরই হামলাকারীরা এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ দল জোট বেঁধে মাদক বিক্রি করছিলো। সেই বিষয়ে এলাকায় সোচ্চার প্রতিবাদ করেন মোঃ রাকিব হোসেন। এ কারণে ইতোপূর্বে মাদক ব্যবসায়ীরা তার উপর একাধিকবার হামলা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু হামলার পরেও রাকিব প্রতিবাদে মুখর ছিল। ঘটনার রাতে রাকিব তার বন্ধু জুয়েলকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আবারো হামলার শিকার হন। হামলার একপর্যায়ে এলাকাবাসীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
লৌহজং থানার আর্জির সূত্রে জানা যায়, এ হামলায় অভিযুক্তরা হলেন মাহমুদুল হাসান ওরফে সুজন। তার পিতার নাম মৃত ইদ্রিস শেখ। তার গ্রামের বাড়ি মৌছামান্দ্রায়। অপরজন কামরুল ইসলাম (৪০)। তার পিতার নাম মৃত আব্দুল জলিল বেপারি। তার গ্রামের বাড়ি কাজির পাগলায়। রাতের আঁধারে তাদেরকে চিনতে পারায় আর্জিতে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু হামলার সময় আরো একাধিক ব্যক্তি যুক্ত ছিলেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাদের নাম অজ্ঞাতনামায় রয়েছে বলে রাকিব জানান। হামলার সময়ে চাপাতি, বড় হাতুড়ি ও পিস্তল ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগকারী রাকিব এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসাইন বলেন, অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লৌহজংয়ে মাদক বিক্রিতে বাঁধা দেয়ায় দুইজন আহত
আগের পোস্ট