নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে অবৈধ আইসক্রিম ফ্যাক্টরীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এম.এইচ.টি এন্ড ফ্যাক্টরী নামক এক আইসক্রিম ফ্যাক্টরী বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সাথে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মো. মোস্তফা আহম্মেদ (৪৩) নামক এক কর্মচারীকে বিএমটিআই আইন ২০১৮ এর ১৫ এর ২৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বেজগাঁও ইউনিয়নের হাটভোগদিয়া গ্রামে মোজাম্মেল তালুকদারের আইসক্রিম ফ্যাক্টরীতে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। একই স্থানে মুদি দোকান খান স্টোরকে মেয়াদবিহীন আইসক্রিম ও জর্দার জন্য দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য পেয়েছি লৌহজংয়ে কিছু অবৈধ আইসক্রিম ফ্যাক্টরী রয়েছে। যেখানে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যহানিকারক উপকরণ দিয়ে আইসক্রিম তৈরী করা হয়। সেভেনআপ, মিষ্টি দই, রোবর্ট, স্পিড এসব নামে কাপড়ের রং, ঘন চিনি, বিষাক্ত ক্যামিকেলসহ ক্ষতিকর উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়। যা মানবদেহে ক্যান্সার, প্রতিবন্ধীতাসহ শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। মূলত এগুলো শিশুখাদ্য হিসেবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে। আমরা এসে জব্দ করে প্রায় ২০ লাখ টাকার অবৈধ পণ্য ধ্বংস করেছি। আইসক্রিম ফ্যাক্টরীতে চারটি পল্লী বিদ্যুতের মিটার ছিলো। আমরা সেগুলো থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করেছি।
ইউএনও আরও জানান, আগামী শনিবারের মধ্যে এ ফ্যাক্টরীর সব ধরনের মালামাল সরিয়ে ফেলতে হবে এ শর্তে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই সাথে এক কর্মচারীকে অবৈধ কাজের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, লৌহজংয়ে একটিও অবৈধ আইসক্রিম ফ্যাক্টরী আমরা রাখবো না। দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের বিভাগীয় পরিদর্শক মো. মঈন উদ্দিন, কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) লৌহজং উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মো. মানিক মিয়া, স্যানেটারী ইন্সপেক্টর নাজমুল ইসলাম, লৌহজং থানার এসআই মোস্তাফা কামাল, সাংবাদিক মো. সোহেল রানা প্রমুখ।