নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে শ্রমিক সংকটে পড়েছে সারাদেশসহ মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের কৃষকও। আর এ শ্রমিক সংকটের কারণে অসহায়, হতদরিদ্র কৃষকের পাকা ধান ক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে লৌহজং উপজেলার আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ নূর নবী রোজা রেখে কনকসার ইউনিয়নের ৫৬ শতাংশ জমির পাকা ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দেন। উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ নূর নবীর নেতৃত্বে গত বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শুক্কুর আলীর জমির পাকা ধান কাটায় অংশগ্রহণ করেন উপজেলা যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের নতুনকান্দি (নাগেরহাট) গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক শুক্কুর আলী এতে আনন্দে দিশেহারা হয়ে বলেন, আমার আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। ধারে টাকা নিয়ে বর্গা জমিতে ধান রোপন করেছি। ধান পেকে জমিতে পড়েছিলো, কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে পাকা ধানগুলো কাটতে পারছিলাম না। আর এসব কথা যুবলীগ নেতা মোস্তাক ভাই শোনে। সে নিজে তার নেতাকর্মী নিয়ে আমার জমির পাকা ধান কেটে মাড়াই দিয়ে ঘরে তুলে দিয়ে যান। আমি অনেক উপকৃত হয়েছি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যুবলীগ নেতা মোস্তাকের প্রতি। তার মত এমন নেতা প্রতিটি উপজেলায় যেনো থাকে।
যুবলীগের সহ-সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ নূর নবী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এমপির অনুপ্রেরণায় আমরা কৃষকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আমরা উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে সাথে নিয়ে হতদরিদ্র কৃষকের পাকা ধান কেটে মাড়াই দিয়ে ঘরে তুলে দিয়ে আসছি। আমাদের এ কাজ চলমান থাকবে। যতদিন মাঠে ধান থাকবে ততদিন আমরা অসহায় কৃষকের পাশে থাকবো।
মোস্তাক আরও জানান, করোনার মহামারী নয় সবসময় অসহায় মানুষের পাশে আওয়ামী লীগ ছিল, আছে এবং থাকবে।
ধান কাটায় অংশগ্রহণ করেন সঞ্জয় দাস, ফারুক খালাসি, ইমরান আহম্মেদ লিমন, তানজিল আহম্মেদ, আবির হোসেন, সজিব হোসেন, হাসান, সিফাত, রাজিব, রফিক মৃধা, জামিলসহ কনকসার ইউনিয়ন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।