নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এক বিবৃতিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।
বাণীতে মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক মর্মবেদনার দিন। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে মহান পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মসমর্পণ শুরু করে এবং পাকিস্তানিরা যখন তাদের অনিবার্য পরাজয় উপলব্ধি করে তখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান অর্থাৎ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মেধাবী মানুষদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন ও স্বাধীনতার সংগ্রামে দেশমাতৃকার এই শ্রেষ্ঠ সন্তানরা নিজ কর্মের মাধ্যমে প্রেরণা জুগিয়েছিলেন। বাঙালি জাতিকে সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ করে মুক্তিকামী জনগণকে উদ্দীপ্ত করেছিলেন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের আপসহীন ভূমিকা পাকিস্তানি শাসকদের ক্ষুব্ধ করেছিল। তাই যুদ্ধের শুরু থেকেই পাকিস্তানী বাহিনী বাছাই করে করে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করতে থাকে। বাঙালি জাতি যাতে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ অর্জন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ। রাজনৈতিক সংগ্রাম আর সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অসামান্য আত্মত্যাগের রক্তাক্ষরে রচিত হয়েছে বাঙালি জাতির বীরত্বের ইতিহাসÑ মুক্তির ইতিহাসÑ স্বাধীনতার ইতিহাস। স্বাধীনতা অর্জনে এই মাতৃভূমিকে যে মূল্য দিতে হয়েছেÑ বাঙালি জাতিকে যে আত্মত্যাগ করতে হয়েছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আর মুক্তিযুদ্ধ নামক মহাকাব্যের চির-উজ্জ্বল তারকা হলেন এদেশের প্রত্যেকটি মুক্তিযোদ্ধা। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা হলেন সেই মহাকাব্যের অমর, অক্ষয় ও চির দুর্জয় ধ্রুবতারা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন-সাধ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একটি উন্নত সমৃদ্ধ কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গৃহীত ‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ’-এর কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলেই ৩০ লাখ শহীদের স্বপ্ন-আকাক্সক্ষা পূরণ হবে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পবিত্র আত্মা শান্তি পাবে।