নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষক লাঞ্ছনা ও অপদস্থ বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষকদের ওপর নির্যাতন ও হামলা আমরা মেনে নেবো না। এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। বুধবার (৬ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একটি মহল উস্কানি দিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এ জাতীয় ঘটনা ঘটাচ্ছে। অনেকে দেখেও কোনো প্রতিবাদ করছে না। এটি শুধু সরকার অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার দায়িত্ব নয়। তিনি বলেন, এসব ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো সবার সামাজিক দায়িত্ব। শুধু ঘটনা ঘটলো আর প্রশাসনিকভাবে আমরা ব্যবস্থা নিলাম তাতে এটি বন্ধ হবে না। বরং এটি প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সেজন্য একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষক জাতি গড়ার কারিগর। দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকদের লাঞ্চনা, নির্যাতনসহ যেসব ঘটনার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, সেটি খুবই দুঃখজনক। এসব ঘটনা দেখে শিক্ষকরা এক ধরনের শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। আমরা তাদের পাশে আছি। সামাজিক আন্দোলন মাধ্যমে এসব অন্যায় বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।
এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্তির জন্য যেসব প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়েছে তাদের সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ড, মাঠ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যেমে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কারো তথ্য ভুল প্রমাণিত হলে তাদের এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে।
আর যদি সব যোগ্যতা থাকার পরও কোনো প্রতিষ্ঠান বাদ যায় তবে তালিকা প্রকাশের পরে ১৫ দিনের মধ্যে সাধারণ স্কুল-কলেজের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব ও কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব বরাবর আবেদন করতে হবে। পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে তা শুনানি করে সমাধান করা হবে। এসময় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও তার অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।