বিনোদন ডেস্ক : মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্তে অগ্নিকান্ড ও শিশু নিখোঁজ ইস্যুতে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষিকার স্ট্যাটাস নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সেটি শেয়ার করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর স্ত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। ফেসবুকে শিক্ষিকা পূর্ণিমা দাসের দেওয়া স্ট্যাটাসে সমর্থন জানিয়ে তা শেয়ার করায় সমালোচনার তীর ছুটে এসেছে তিশার দিকে।
স্কুলের অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হায়দার আলী ভবনের শিক্ষক পূর্ণিমা দাস নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘ভুল তথ্য ছড়াবেন না। আমি নিজেও আগুনের মধ্যে আটকে পড়েছিলাম। ছুটি হওয়ার পর অধিকাংশ শিক্ষার্থী চলে গিয়েছিল। মাত্র কয়েকজন বাচ্চা ছিল, যাদের উদ্ধার করতে গিয়ে আমাদের কিছু সহকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন বা আহত হয়েছেন।’
তিনি আরও দাবি করেন, ‘স্কাই সেকশনে আমি ঢুকেছিলাম ছুটির সময়, সেখানে শুধু একটি শিশু ছিল। বাকিরা ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছিল। কিছু বাচ্চা পরে আবার ঢুকেছিল, তাদের অন্য সেকশনে সরিয়ে নেওয়া হয়। যেসব শিশুরা নিহত বা নিখোঁজ হয়েছে, তারা হয়তো করিডোরে, সিঁড়িতে বা দোলনায় ছিল এমনটা মনে হচ্ছে।’
এই পোস্টে সমর্থন জানিয়ে শেয়ার করার পর থেকেই নুসরাত ইমরোজ তিশার দিকে ধেয়ে আসে সমালোচনার ঢল। অনেকেই তাকে ‘সংবেদনহীন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
রেশমা ধর নামের এক নেটিজেন লেখেন, ‘আপু, আপনি আমার প্রিয় একজন অভিনেত্রী। কিন্তু আজ মনটা ভেঙে দিলেন। যদি ক্ষতি না হয়ে থাকে, তাহলে ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলোতে জ্বলন্ত ক্লাসরুমগুলো কী? কাউকে ভয় না পেলেও, সৃষ্টিকর্তাকে তো ভয় করুন।’
সুমন নামের আরেকজন প্রশ্ন তোলেন, ‘যদি ক্লাসে বাচ্চারা না থাকত, তাহলে মেহরিন ম্যাম কোন বাচ্চাদের বের করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন?’
তিশা এসব সমালোচনার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।