নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে দেশের দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষের ঢল পড়েছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। গতকাল বুধবার সকাল থেকেই কাঁঠালবাড়ি ঘাট হয়ে লঞ্চ, স্পীডবোট ও ফেরিযোগে যাত্রীরা শিমুলিয়া ঘাটে আসতে শুরু করে। ফেরি স্বল্পতার কারণে অধিকাংশ যাত্রীরা লঞ্চ ও স্পীডবোটে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। ঈদের আগে নাড়ির টানে যেমন বাড়ি ছুটছিলো লাখ মানুষ। ঠিক তেমনি কর্মের টানে কর্মস্থলে ছুটা শুরু হয়েছে শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলাচল করছে দক্ষিণবঙ্গের মানুষগুলো। একজন আরেকজনের গাঁ ঘেষে গাদাগাদি করে লঞ্চ, স্পীডবোট ও ফেরিতে চলাচল করছে। এদিকে গত ১ মাস যাবত পদ্মায় নাব্যতা সংকট ও প্রবল স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দিনে অল্প সংখ্যক ফেরি চলাচল করলেও রাতে পুরো দমে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখছে বিআইডব্লিউটিসি। গত রাত থেকে টানা ৯ ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিলো। ভোর ৫টা থেকে সাতটি ফেরি দিয়ে ঘাট সচল রাখা হয়েছে। এতে সকালে ঘাটে যানজটের জটলা বেঁধে যায়। পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঘাট নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। জানা যায়, গত ২৮ জুলাই বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শিমুলিয়া ৩নং রোরো ফেরি ঘাটটি পদ্মার ছোবলে বিলীন হয়ে যায়। পরে ২ দিন রোরো ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর আবারও ২নং ফেরি ঘাট দিয়ে সীমিত আকারে রোরো ফেরি চলাচল শুরু করে। বর্তমানে ১৬টি ফেরির মধ্যে ৭টি ফেরি দিয়ে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ পথটি সচল রাখা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান জানান, নাব্যতা সংকট ও প্রবল স্রোতের কারণে রাতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ফলে সকালে ঘাট এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছিলো। তবে ভোরে ফেরি চলাচল শুরু করার পর বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঘাট এলাকায় যানজটের জটলা কমতে থাকে। ৩টি রোরো, ২টি কে-টাইপ ও ২টি মিডিয়াম ফেরি দিয়ে ঘাট সচল রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ৩ নম্বর রোরো ফেরি ঘাটটি সংস্কারের কাজ চলছে। কবে নাগাদ শেষ হবে আর কবে রোরো ফেরি ঘাটটি চালু করা যাবে সেটা বলা মুশকিল। মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. হিলাল উদ্দিন জানান, সকালে ঘাট এলাকায় ছোট বড় বেশ কিছু গাড়ি ছিলো। বেলা বাড়ার সাথে সাথে তা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। তবে কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে সকাল থেকেই যাত্রীর চাপ ছিলো চরমে। ঢাকামুখে কর্মস্থলে হাজার মানুষ যাচ্ছে। তবে এখন ঘাট স্বাভাবিক।