নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সর্বাত্মক লকডাউনের ১৩ তম দিনে আটকানো যাচ্ছে না দক্ষিণবঙ্গের মানুষের চাপ। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে ঘাট সংশ্লিষ্টরা শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় মানুষের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এদিকে বিআইডব্লিউটিসি’র ঘোষণার পরেও থামছে না শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে যাত্রীবাহী গাড়ি ও যাত্রী পারাপার। পুলিশের চেকপোস্ট, ঘাট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা আর কঠোর বিধিনিষের নানা দুর্ভোগ অতিক্রম করে যাত্রীরা ছুটে চলেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা, কেরানীগঞ্জ, ধলেশ্বরী টোলপ্লাজা, হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশ, নারায়ণগঞ্জ ও মুক্তারপুর, চেকপোস্ট ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিনের মতো গতকাল সোমবারও মাওয়া শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। বিআইডব্লিউটিসি থেকে বন্ধের নির্দেশনার পরে গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৬টায় দেখা যায় কে টাইপ ফেরি ক্যামিলিয়া ও সকাল ৮টায় একটি ডাম্প ফেরি যাত্রীদের প্রচন্ড ভিড় ছিলো। মুন্সীগঞ্জে মাওয়া শিমুলিয়া ঘাট হয়ে ফেরিতে পদ্মা পার হতে দেখা যায় শত শত যাত্রী ও প্রাইভেট গাড়ি। এতে ফেরিতে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধান। ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, আসন্ন ঈদুল আজহা ও কঠোর লকডাউনের সময় বৃদ্ধিতে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রীরা ভেঙে ভেঙে ঘাটে পৌঁছাচ্ছে। নির্দেশনা উপেক্ষা করে ফেরিতে নদী পার হচ্ছেন তারা। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শফিকুল ইসলাম জানান, নৌ-রুটে বর্তমানে ১০টি ফেরি চালু রয়েছে। যাত্রীবাহী গাড়ি ও যাত্রী পারাপারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তবে ঢাকা থেকে সড়ক পথে পুলিশের চেকপোস্ট উপেক্ষা করে যাত্রীরা ঘাটে আসছে। তাদের ফেরিতে ওঠা থামানো যাচ্ছে না। তাই এখন যেসব যাত্রী ঘাটে আসছে তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক গাড়ি। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিআইডব্লিউটিসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৯ জুলাই থেকে ফেরিতে যাত্রীবাহী সব ধরনের গাড়ি ও যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে। এসময় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করতে পারবে।