নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে কিছুটা লকডাউন শিথিল হচ্ছে। সর্বাত্মক লকডাউনের শেষ দিন গতকাল বুধবার কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে বেড়েছে যাত্রী ও ব্যক্তিগত যানের সংখ্যা। এতে ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান। সকাল থেকে বিভিন্ন উপায়ে যাত্রীরা লকডাউন ভেঙ্গে ঘাট এলাকায় এসে ফেরি দিয়ে পার হচ্ছে। তবে বিআইডব্লিউটিসি বলছে পুলিশের চেকপোস্ট পার হয়ে জরুরী প্রয়োজনে যারা ঘাটে আসছে তারাই পারাপার হচ্ছে। গেলো শুক্রবার বিআইডব্লিউটিসি থেকে ব্যক্তিগত যানবাহন ও যাত্রী পারাপার বন্ধের নির্দেশনার পরও কিছুতেই কার্যকর হচ্ছেনা। বরাবরের মত গতকাল বুধবার সকালেও ঘাটে ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহম্মেদ জানান, এ নৌরুটে বর্তমানে ৪টি রো রো, ২টি ঠেলা, ৪টি কে টাইপ, ২টি মিডিয়াম, ১টি ছোটসহ মোট ১৩টি ফেরী চলাচল করছে। ঘাটে রাতে ও সকালে যাত্রী ও ছোট গাড়ির সংখ্যা বেশি থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথেই সে চাপ কমে আসে। মাওয়া ট্রাফিক ইনচার্জ জাকির হোসাইন গতকাল বুধবার দুপুরে জানান, শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় ব্যক্তিগত যানের সংখ্যা বাড়লেও তেমন একটা চাপ নেই। জরুরী প্রয়োজনে যারা ঘাটে আসছে তারাই পারাপার হচ্ছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার লকডাউন একটু শিথিল হচ্ছে। তাই আজ ঘাট এলাকায় যানবাহন ও যাত্রী বৃদ্ধি পাবে। সেলক্ষ্যে মাওয়া ট্রাফিক পুলিশও প্রস্তুত রয়েছে যাত্রীদের সেবা দিতে। যথারীতি যানবাহনের সিরিয়াল অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গাড়ি ফেরিতে উঠানো হবে।
শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীর পাশাপাশি বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি
আগের পোস্ট