নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রী এবং যানবাহনের চাপ কমেছে। কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ফেরি ও ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসছেন কিছু যাত্রী। ফেরিতে জরুরি প্রয়োজনীয় যানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও যাত্রী পদ্মা নদী পার হচ্ছে। তবে ফেরিতে আসা অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। সরেজমিনে গতকাল বুধবার বিকালে গিয়ে দেখা যায়, সকালে যাত্রী সংখ্যা বাড়লেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীর চাপ অনেকটা কমে এসেছে। ঘাটে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ দেখা গেছে। এদিকে ঘাট-সংলগ্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও ওপার থেকে যাত্রীরা এসে কৌশলে চেকপোস্ট এড়িয়ে পার হচ্ছেন। যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো কার্যকরী উদ্যোগ নেই চেকপোস্টেগুলোতে। এক চেকপোস্ট থেকে অপর চেকপোস্ট পর্যন্ত ভেঙে ভেঙে চলছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। এদিকে কিছু ভাড়ায়চালিত মাইক্রোবাস চলাচলও করতে দেখা গেছে। এসব যানবাহনে যাত্রী হয়রানি চরমে। কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের। ওপার থেকে যেসব যাত্রী আসছেন তারা পথে পথে ভোগান্তির শিকার হয়েও ছুটছেন গন্তব্যে। এ ব্যাপারে মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই জাকির হোসেন দুপুরে বলেন, ঘাটে এ মুহূর্তে ২০ থেকে ২৫টি পণ্যবাহী গাড়ি রয়েছে। এপারে কোনো যাত্রীর চাপ নেই। তবে ওপারে যাত্রীর চাপ রয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, চাপ কম থাকায় নৌরুটে বর্তমানে ৭টি ফেরি চলছে। ফেরিতে পণ্যবাহী গাড়ি ওঠানোর সময় ওপার থেকে যাত্রীরা গাড়ির সঙ্গে ফেরিতে চড়ে এপারে আসছে। ঘাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন ফেরিতে আসা যাত্রীরা মানছেন না বিধি নিষেধ।