নিজস্ব প্রতিবেদক
শীতের শেষপর্যায়ে পিঠা খাওয়ার ধুম চলছে লক্ষ্মীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। শীতের শেষে এসে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আরেক আত্মীয়ের বাড়ি চলছে বেড়ানোর ধুম। জামাইয়েরাও নেই কোনো অংশে পিছিয়ে। তারাও শত ব্যস্ততার মাঝে বেড়াচ্ছেন শ্বশুরবাড়িসহ বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে। এদিকে আত্মীয়-স্বজনের বেড়ানোকে কেন্দ্র করে চলছে বাড়ি বাড়ি পিঠা উৎসব। আর এই পিঠার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে চাউল। ব্যস্ততা বেড়েছে ভ্রাম্যমাণ চাউল গুঁড়ো করা মেশিনওয়ালাদের। তেমনই একজন ভ্রাম্যমাণ চাউল গুঁড়ো করা মেশিন মালিক ইমরান। তিনি লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাউল ভাঙিয়ে পাউডার করে পিঠা বানানোর জন্য প্রস্তুত করে দিচ্ছেন। এ বিষয়ে মেশিন মালিক ইমরান বলেন, শীতের এই সিজনে প্রতিটা বাড়িতে চলে পিঠার আয়োজন। আর এই পিঠা বানানোর জন্য দরকার হয় চাউল গুঁড়ো করার। আমরা এই দরকারের কথা চিন্তা করে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অল্প টাকায় চাউল গুঁড়ো করে দেই।
এসময় কমলনগর উপজেলার নাসিরগঞ্জ এলাকার আব্দুল খালেক মাঝির বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অনেক মহিলারা চাউল প্রস্তুত করে চাউল গুঁড়ো করার মেশিনের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। সেখানকার একজন আয়শা বেগমের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমগো এলাকায় এরম চাউল গুঁড়া করার মিশিন থাকনের কারণে আমগো কষ্ট কইরা বাজারে যাওন লাগেনা, আর ১ কেজি চাউল গুঁড়া করতে ৮ টেয়া করে নেয় মিশিনওয়ালা।
এসময় সেখানে অপেক্ষা করা অপর এক মহিলা রুবিনা বেগম বলেন, এই চাউলের গুঁড়া দিয়া ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা, ভিজা পিঠা, চিতই পিঠা, জামাই পিঠা, পাঁচপিঠা, ছাইন্না পিঠা, খাজুর পিঠা, সাজের পিঠাসহ আরও অনেক পিঠা বানানো হয়। সব পিঠার নাম এখন মনে পড়েনা।