নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ক্রীড়া সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামাল ছিলেন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের আধুনিকতার প্রবর্তক। শেখ কামাল ছিলেন প্রগতিশীল মানসিকতায় বিকশিত একজন আদর্শ যুবক। তিনি একাধারে সংস্কৃতি, খেলাধুলা ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ছিলেন আত্মনিবেদিত প্রাণ।
গতকাল সোমবার মুন্সীগঞ্জ সদর ও গজারিয়া উপজেলায় শহীদ শেখ কামাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় এ্যাথলেটিক প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিলুফার জাহান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শফিউল্লাহ, মোঃ মিজানুর রহমান প্রধান, ইঞ্জিনিয়ার সাহিদ মোঃ লিটন, মোঃ হাফিজুজ্জামান খান জিতু, কামরুল হাসান ফরায়েজী প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, শহীদ শেখ কামাল ছিলেন বহুমাত্রিক অনন্য সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক। শেখ কামাল ছিলেন প্রগতিশীল মানসিকতায় বিকশিত একজন আদর্শ যুবক। তিনি একাধারে সংস্কৃতি, খেলাধুলা ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ছিলেন আত্মনিবেদিত প্রাণ। দেশমাতৃকার স্বাধীনতা সংগ্রামেও ছিলেন একজন অগ্রসৈনিক। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন; বাড়ি থেকে বের হয়ে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন্ড লাভ করেন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বলেন, শেখ কামাল ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। অভিনয় শিল্পী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যাঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। শৈশব থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় প্রচন্ড উৎসাহ ছিল তার। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। শহীদ শেখ কামাল আমাদের দেশে নান্দনিক ফুটবল ও ক্রিকেটসহ অন্যান্য দেশীয় খেলার মান উন্নয়নে অক্লান্ত শ্রম দিয়ে অপরিসীম অবদান রেখেছিলেন। নতুন নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তুলতেন এবং তাদের সাথে নিয়মিত অনুশীলন করতেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার আগে ও স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের অবদান অপরিসীম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশু-কিশোরদের ভালবাসতেন। তিনি ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ ছিলেন। বঙ্গবন্ধু নিজেও ছিলেন কৃতী ফুটবলার; খেলতেন হকি, ভলিবলও। মেজ ছেলে শেখ জামাল ছিলেন ফুটবল ও ক্রিকেট খেলোয়াড়। এদিকে শেখ কামালের সহধর্মিণী মেধাবী ক্রীড়াবিদ সুলতানা কামালের নাম যেন ক্রীড়াঙ্গনের সবুজ মাঠের প্রতিটি ঘাসের সঙ্গে মিশে রয়েছে। তারা সবাই আজ ফ্রেমবন্দি। কিন্তু জীবনের বাঁকে বাঁকে তারা এ দেশের ক্রীড়াঙ্গন করেছেন সমৃদ্ধ। আর বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সকলের খেলাধুলার জন্য অনুপ্রেরণা দিতেন, পাশে থাকতেন। তিনিও পরিবারের অন্য সকলের মতোই খেলাধুলাকে পছন্দ করতেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও ক্রীড়াবান্ধব মানুষ। তিনিও খেলাধুলা ভালবাসেন। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে সমৃদ্ধ করতে তিনি বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
শেখ কামাল ছিলেন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের আধুনিকতার প্রবর্তক – অ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস এমপি
আগের পোস্ট