নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, শ্রমজীবী কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের মধ্য দিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ জাতি রাষ্ট্র গঠনে কাজ করে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত, মেহনতী জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে কৃষক, শ্রমিক, মেহনতী মানুষসহ সকল শ্রমজীবীকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ শ্রমজীবী মানুষের উন্নয়ন হলেই সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে।
গতকাল বুধবার জাতীয় শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ আঞ্চলিক শ্রমিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। আঞ্চলিক শ্রমিক লীগ সভাপতি আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষক লীগ সভাপতি মহসীন মাখন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল-মাহমুদ বাবু, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমানুল্লাহ্ শাহীন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা তপন, জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক মোর্শেদা আক্তার লিপি, কৃষক লীগ নেতা বাদশা মিয়া, সালাহ্উদ্দিন পাঠান, কাউন্সিলর মকবুল হোসেন, জাকির হোসেন, নার্গিস আক্তার, জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম রসুল সিরাজী রোমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক আপন দাস প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত, মেহনতী জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যেমন ছিলেন বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার, তেমনি তিনি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। স্বাধীনতা লাভের পর জাতির পিতা দীপ্ত কণ্ঠে উচ্চারণ করেছিলেন বিশ্ব আজ দু’ভাগে বিভক্ত। একদিকে শোষক, অন্যদিকে শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধু সরকার শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ইতিহাসের বর্বরোচিত হত্যাকান্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হলে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার সে সংগ্রামÑ শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার সংগ্রামে হোঁচট খায়।
তিনি আরও বলেন, বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামে বাংলাদেশের শ্রমিক শ্রেণী অনন্য সাধারণ রক্তঝরা গৌরবোজ্জ্বল বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। আদমজী, টঙ্গী, খালিশপুর, তেজগাঁওসহ শিল্প এলাকা হিসেবে খ্যাত বাংলাদেশের সকল স্থানে শ্রমিকসমাজ বাঙালির সকল মহতী সংগ্রামে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ‘বৈষম্যহীন’ সমাজ গড়ার প্রত্যয় ধারণ করে শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু কন্যার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য উন্নয়নের রোল মডেল। অগ্রযাত্রার এ ধারা অব্যাহত রেখে আমরা সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। এর মধ্য দিয়ে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। জাতির এ লক্ষ্য অর্জনে কৃষক, শ্রমিক, মেহনতী মানুষসহ সকল শ্রমজীবীকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।