নিজস্ব প্রতিবেদক
কঠোর লকডাউন ঘোষণায় গ্রাম শহরের মানুষ বিচলিত জীবনধারণের জন্য। কিভাবে তারা বাঁচবে এই আশায় যেন দিশেহারা। তাই ঘরে যা কিছু সঞ্চয় আছে তাই নিয়ে কেনাকাটায় ঝাপিয়ে পড়ছে। এতে শ্রীনগরের প্রায় সব দোকানে উপচে পড়া ভিড়। বিশেষ করে মহিলা ক্রেতাদের ভিড় সামাল দেওয়া কষ্ট। দেখে মনে হচ্ছে আর কখনো দোকানপাট খুলবে না। সীমা বেগম এসেছেন হাঁসাড়া ইউনিয়ন আলমপুর গ্রাম থেকে। কঠোর লকডাউন আর নাও উঠতে পারে এমন শঙ্কা থেকে তিনি বাচ্চাদের জামাকাপড় ও সংসারের যাবতীয় জিনিস কিনতে এসেছেন। গৃহবধূ রোজিনা জানান, পহেলা বৈশাখ ও ঈদের কেনাকাটা করতে তিনি মার্কেটে এসেছেন। সব মহিলারা জানালেন করোনার ভয়াবহ প্রকোপ ও লকডাউনের কারণে দোকানপাট বন্ধ দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে। ফলে মানুষ আর বাইরে বের নাও হতে পারে। গতকাল মঙ্গলবার শ্রীনগরের কাপড়ের দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। যেখানে কোন স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। মাস্ক ছাড়া গাদাগাদি করে কেনাবেচা করছে ক্রেতা-বিক্রেতারা। এ অবস্থা এম রহমান মার্কেট, ঝুমুর হল সড়কসহ বিভিন্ন বিপনী বিতান ঘুরে দেখা গেছে, মাস্ক ছাড়াই অভিভাবকদের সঙ্গে শপিংমলে ঘুরছে শিশুরা। তবে করোনা প্রতিরোধে প্রশাসনিক কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পোশাক কিনতে আসছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের নারীরা। শ্রীনগরের বাঘরা রথকে আসা রহিমা বেগম নামে এক নারী বলেন, কালকের দিন পরে তো সব বন্ধ করে দিবে, তাই বাচ্চাদের জন্য কাপড় কিনতে এসেছি। শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ রেজাউল হক বলেন, করোনার এই পরিস্থিতিতেও মানুষ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও দোকান-পাটে ভিড় করছে। এতে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণব কুমার ঘোষ বলেন, মানুষের বাইরে আসা, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও মানুষকে সচেতন করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে।