নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল বাজারে জোরপূর্বক দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে টিনের দোকান ঘরটি নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ভাগ্যকুলের দক্ষিণ মান্দ্রা গ্রামের সাবের সিকদারের পুত্র শামসু সিকদারের বিরুদ্ধে দোকান ঘরটি নির্মাণের অভিযোগ উঠে। অভিযোগকারী উত্তর মান্দ্রা গ্রামের আব্দুল করিম সরকার গং এমনটাই অভিযোগ করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষা ভাগ্যকুল বাজার ঘাটের পশ্চিম পাশে কাঠ ও টিন দিয়ে বেশ কয়েকটি দোকন ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। জানা গেছে, কিছুদিন আগে মাছবাজারের দক্ষিণ পাশে বিরোধপূর্ণ ওই জায়গায় জোরপূর্বক দোকানটি নির্মাণ করেন শামসু সিকদার গং। দোকান ঘরটি বাজারের এক মৎস্য ব্যবসায়ীর কাছে ভাড়া দিয়ে রাখা হয়েছে।
ভাগ্যকুল বাজারের দোকানীরা জানায়, একসময় এখানে দোকানপাট ছিল, বন্যায় এগুলো ভেঙ্গে যায়। কয়েক বছর আগে যে যার মত করে দোকান নির্মাণ কাজ শুরু করে। তবে মালিকানা নিয়ে বিরোধ থাকার ফলে কাজ বন্ধ থাকে। হঠাৎ কিছুদিন আগে শামসু সিকদারসহ অন্যরা দোকান ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন। গত কয়েকদিন আগে ভূমি কর্মকর্তা এসে লাল নিশান সেঁটে দিয়ে সংশ্লিষ্টদের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বলে গেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাগ্যকুল মৌজার আরএস ১০৬নং দাগের দেড় শতাংশ জমির (নামজারী ও জমাভাগ নং-৭৫০/৮৯-৯০) মালিকানা দাবী করছেন আব্দুল করিম সরকার ও তার পুত্ররা। একই জমির মালিকানা দাবী করছেন প্রতিপক্ষ শামসু সিকদার গং।
আব্দুল করিম সরকারের পুত্র মো. ইমরান সরকার বলেন, আমার বাবা বয়সের ভারে অসুস্থ। আমি ব্যবসার কাজে ঢাকা থাকি। ভাগ্যকুলে পালদের কাছ থেকে আমার বাবা ক্রয়সূত্রে জায়গাটির মালিক। বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ার পরে আমরা পুনরায় দোকান ঘর নির্মাণ করিনি। অথচ শামসু সিকদার অবৈধভাবে আমাদের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করেন।
এ বিষয়ে শামসু সিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি দাবী করেন পৈতৃক সূত্রে জায়গাটির মালিক তারা। এরই মধ্যে স্থানীয় ভূমি অফিসে এই জায়গার কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।
ভাগ্যকুল বাজার কমিটির সভাপতি মো. প্যারিশ সারেংয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বন্যায় জায়গাটি ভেঙ্গে যাওয়ার আগে এখানে আমরা করিম সরকারের দোকান দেখেছি। শামসু সিকদারের কোন দোকান আমরা দেখিনি। তবে এখন শামসু সিকদার দোকান নির্মাণ করেছেন। আসলে কাগজপত্রে কে মালিক আমরা বলতে পারবো না।
শ্রীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, মূলত এটি নদীর জায়গা। বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমি লাল নিশান দিয়ে এসেছি। কিছুদিনের মধ্যে আবার পর্যবেক্ষণে যাবো। আগ্রাধিকার ভিত্তিতে দলিল গ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলবো। যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই তারা দোকান উঠাতে পারবে না। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।