নিজস্ব প্রতিবেদক,২৬ অক্টোবর : মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের হাঁসাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম হাঁসাড়া গ্রামের জনচলাচলের একমাত্র কাঁচা রাস্তাটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কাঁচা রাস্তাটি খানাখন্দ আর বর্ষার মৌসুমে মাটি ভেঙ্গে বেহাল দশা, এ যেন রাস্তা নয় জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। রাস্তাটি নিচু হওয়ায় বর্ষার মৌসুমে পানিতে ডুবে যায়। ফলে এই রাস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে পশ্চিম হাঁসাড়া গ্রামের হাজারো মানুষ। পশ্চিম হাঁসাড়া মাঝিপাড়া মিনার মসজিদ থেকে ভূইয়া পাড়া মোড়, কবরস্থান শাখা মোড়, বানিয়াপাড়া হয়ে আলমগাজী দীঘির পশ্চিমপাড় পর্যন্ত ওই গ্রামের নয়টি পাড়ার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে এ কাঁচা রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসলেও কর্ণপাত করছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে এলাকার জনসাধারণের দুর্ভোগ মাত্রা নিয়েছে চরমে। তাই এলাকাবাসীর যাতায়াতে কষ্ট লাঘবে চলতি শুষ্ক মৌসুমে রাস্তাটির সংস্কার/পুনঃ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, হাঁসাড়া ইউনিয়নে পশ্চিম হাঁসাড়া গ্রামের মাঝিপাড়া, সিকদারপাড়া, ভূইয়াপাড়া, মৃধাপাড়া, খায়েগোপাড়া, মুন্সীপাড়া, শেখপাড়া, বানিয়াপাড়া, মোল্লাপাড়া ও পিয়নপাড়াসহ প্রায় দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের প্রায় ৫শত পরিবারের সুস্থ-অসুস্থ, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ মসজিদের মুসুল্লিগন, হাট-বাজারে যেতে হয় ওই কাদামাটি, খানাখন্দ ও জলাবদ্ধ রাস্তা মাড়িয়ে দুর্ভোগে চলাচল করছে।
বর্ষার মৌসুমে পানিতে ডুবে যাওয়ার ফলে রাস্তাটির প্রায় স্থানেই বড় গর্ত হয়, সেখানে বাঁশের সাঁকো দিয়ে বিপদে চলাচল করতে হয়। প্রায় পুরো রাস্তা জুড়ে ভাঙ্গাচুরা থাকায় বর্ষার মৌসুমসহ সামান্য বৃষ্টিতেই ক্রমাগত ঝুঁকি নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় জন সাধারণের। কাদামাটির রাস্তা দিয়ে কোন প্রকার রিক্সা ও অটোরিক্সা না যেতে পারায় মুমূর্ষু রোগী কিংবা গর্ভবতীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে বিপদ ঘটে। নিরাপদ ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য রাস্তাটি পুনঃ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ এলাকার নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, পশ্চিম হাঁসাড়া মাঝিপাড়া থেকে আলমগাজী দিঘীর পাড়া পর্যন্ত রাস্তাটি পুনঃনির্মাণ করলে গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন। আমরা দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটির সংস্কার/পুনঃ নির্মাণের জন্য দাবি করে আসলেও কাজের কাজ হচ্ছে না। নতুন একটি প্রকল্প গ্রহণ করে রাস্তাটি এই শুষ্ক মৌসুমে পুনঃনির্মাণের দাবি জানান তিনি।
হাঁসাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সোলায়মান খান বলেন, এই রাস্তাটির ব্যাপারে ইতিপূর্বে মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ পাওয়ার একটি চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদের নিজস¦ অর্থায়নে রাস্তাটি পুনঃ নির্মাণ করার ব্যবস্থা নেয়া হয় কিন্তু এলাকাবাসী রাস্তার আশেপাশে থেকে কেউ মাটি দিতে রাজি না হওয়ায় রাস্তাটি করা সম্ভব হয়নি। যদি এলাকাবাসী মাটি দিতে রাজি থাকে তাহলে এই শুষ্ক মৌসুমেই রাস্তাটি পুনঃ নির্মাণ সম্ভব।