নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর-শেখরনগর খালের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া সেতুর সামনে ছাড়পত্রবিহীন ড্রেজার বাণিজ্যে নৌ-যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। যত্রতত্রভাবে খালে বাল্কহেড রেখে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এত গুরুত্বপূর্ণ খালটিতে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহীসহ স্থানীয়দের নৌকা চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফলে দূর্ঘটনার শঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। অপরদিকে সেতুর নিচ দিয়ে অবাধে বালুবাহী বড় বড় বাল্কহেড আসা-যাওয়ার ফলে সেতুটি হুমকির মুখে পড়েছে। ড্রেজার সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য মো. কালাম ও বাবুর বিরুদ্ধে গোয়ালপাড়া এলাকায় ব্যস্ততম খালে অবৈধভাবে ড্রেজারের ভাসমান সাব-স্টেশন স্থানের অভিযোগ উঠে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ষোলঘর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়ায় শ্রীনগর-শেখরনগর খালে অবৈধভাবে স্থাপন করা হয়েছে ড্রেজারটি। খালে যত্রতত্রভাবে বাল্কহেড নোঙ্গর করে ঘন্টার পর ঘন্টা ড্রেজারে লাইনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে খালে নৌ-যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় ঘটতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা। এছাড়া এসব বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় সেতুর অবকাঠামো মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, গোয়ালপাড়ায় খালের ওপর ২০১৪-২০১৫ সালের অর্থবছরে নির্মিত হয় সেতুটি। বড় বড় বাল্কহেড চলাচলের ফলে সেতুর পিলারে ধাক্কা লাগছে। প্রভাবশালী ড্রেজার সিন্ডিকেটের ভয়ে সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।
অপর একটি সূত্র জানায়, সরকারের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ড্রেজার সিন্ডিকেটটি বিভিন্ন ফসলী জমি, খাল ও জলাশয় ভরাট বাণিজ্য করে যাচ্ছে। প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষের বসতবাড়ি ও এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ব্যবহার যত্রতত্রভাবে ড্রেজারের দীর্ঘ পাইপ লাইনের সংযোগ দিয়েছে। প্রভাবশালী ড্রেজার সিন্ডিকেট সদস্যদের ভয়ে ভুক্তভোগীরা মুখ খুলতেও সাহস পায়না। স্থানীয় প্রশাসন মাঝেমধ্যে এসব ড্রেজার উচ্ছেদ করলেও ড্রেজার সিন্ডিকেটরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফের ড্রেজার চালু করছে।
ড্রেজার ব্যবসায়ী মো. কালাম ও বাবুর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, সবাই করছে, আমরাও করছি। আমাদের কাজ শেষ হয়ে গেলে খাল থেকে ড্রেজার নিয়ে যাবো।
এ ব্যাপারে ষোলঘর ইউনিয়ন (ভূমি) উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. দিদার হোসেন শাহিন জানান, খালে ড্রেজার থাকার বিষয়ে আমার জানা ছিল না। এখনই খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি।
শ্রীনগরে অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্য, দূর্ঘটনার শঙ্কা
আগের পোস্ট