নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের কামারগাঁওয়ের মাঠপাড়ায় ব্যক্তি মালিকানা জায়গার ওপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তার নির্মাণের ঘটনায় আদালতে চলমান মামলা থাকার পরেও একটি বিরোধপূর্ণ রাস্তা নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার অভিযোগ উঠেছে। এর আগে ব্যক্তি মালিকানা জায়গা দখল করে রাস্তা নির্মাণে এলাকায় বিরোধ সৃষ্টি হলে স্থানীয় প্রশাসন ও এলজিইডি অফিস কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীর নির্দেশে রাস্তার কাজ শেষ করার কথা জানায় ঠিকাদার জুয়েল লস্কর। তিনি বলেন, তারা নির্দেশ না দিলে আমি কেন কাজ করবো ? এর আগে ভাগ্যকুলের মাঠপাড়ার আব্দুল গোলাম কিবরিয়ার মালিকানা সম্পত্তির (ভাগ্যকুলের কামারগাঁও মৌজার খতিয়ান নং ২২২৯, দাগ নং ২২৩১, ২২২৯, ২২২৯, ২২৩২, ২২৩০ মোট নাল সম্পত্তি পরিমাণ ১০৮ শতাংশ) ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের জন্য সরকারি বরাদ্দ দেন ভাগ্যকুলের ইউপি চেয়ারম্যান। স্বজনপ্রীতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একই এলাকার ইউসুফ হাওলাদার গং জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে চলতি মাসের (আগস্ট) প্রথম সপ্তাহে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদের শিরোনাম হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ওই জায়গার কাজটি বন্ধ করে দেন। অপরদিকে মালিকানা সম্পত্তির ওয়ারিশ মো. রায়হান কিবরিয়া বাদী হয়ে শ্রীনগর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত মুন্সীগঞ্জ একটি দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করেন। মামলা নং-১০৭১। উক্ত মামলায় শ্রীনগর উপজেলা কামারগাঁও মাঠপাড়া এলাকার ইউসুফ হাওলাদার, উপজেলা (স্থানীয় সরকার) প্রকৌশলী ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর আদালত সমন পাঠায়।
মামলার বাদী মো. রায়হান কিবরিয়া বলেন, এর আগে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করার সময়ে উপজেলা প্রশাসন বরাবর কাজ বন্ধের আবেদন করি। এছাড়াও এ ঘটনায় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে গত ১৬/০৮/২০২১ খ্রী: তারিখে মুন্সীগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করি। সংশ্লিষ্টদের বরাবর কোট সমন পাঠায়। তিনি বলেন, এতোদিন কাজ বন্ধ ছিল। আমরা ঢাকায় বসবাস করার সুবাদে রাস্তার কাজটি সম্পন্ন হওয়ায় আমি হতবাক হচ্ছি।
ভাগ্যকুল ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মনোয়ার হোসেন শাহাদাতের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালতে মামলা হয়েছে তা আমার জানা নেই। শ্রীনগর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. রাজিউল্লাহর কাছে মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোনটি কেটে দেন। পরে একাধিকবার তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।