নিজস্ব প্রতিবেদক
আড়িয়ল বিলের ধানের জমি পরিদর্শন করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বিলের ধান পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, সরকার ইতিমধ্যেই কৃষকদের ধান ঘরে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কৃষকদের কোনও রকমেরই কষ্ট বা দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। আমরা আশা করছি কৃষকরা সুন্দরভাবে তাদের ফসল ঘরে তুলতে পারবে। বিভিন্ন জেলা থেকে ধান কাটার জন্য শ্রমিক আসে। এ বছরও ফরিদপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ি থেকে শ্রমিক আসছেন। এছাড়াও উত্তরবঙ্গেও যে সমস্ত শ্রমিকরা আছেন তাদেরকে আনার বিষয়েও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের সাথে যোগাযোগ করছি তারাও শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করবেন। ডিসি মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার আরো বলেন, করোনা মোকাবেলায় বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করছি। কারণ দূর থেকে যারা আসবেন আমাদের নির্দেশনা রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিয়ে আসবেন। যাদের করোনা উপসর্গ নেই তাদেরকেই এখানে পাঠাবেন। আর এখানে যারা আসবেন সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও শ্রমিকদের পৃথক পৃথক থাকার ব্যবস্থা করেছি এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ধান কাটার জন্য বলা হয়েছে। তিনি বলেন, কৃষকদের বাড়তি সুবিধার জন্য একটি উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন কম্বাইন্ড হারভেস্টার দেওয়া হয়েছে। এতে করে কৃষকরা শান্তিতে ও সুন্দরভাবে ধান ঘরে তুলতে পারবেন। এসময় উপস্থিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডিএ) শাহ আলম বলেন, আশা করছি আড়িয়ল বিলে প্রতি হেক্টর জমিতে সাড়ে ৬ টন ধান ফলন হবে। আড়িয়ল বিলের শ্রীনগরের অংশে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। প্রায় ২০ ভাগ জমির ধান পেকে গেছে। আপনার জানেন যে গত সোমবার একটি নতুন কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও একটি রিপার অলরেডি জমিতে ধান কাটছে। এর পাশাপাশি এখন পর্যন্ত ৫০০ ধান কাটার শ্রমিক এখানে এসেছেন। বাকি শ্রমিকরাও আসবেন। বিলের ধান কাটতে এখানকার কৃষকদের স্থানীয় কৃষি অফিস সার্বিক সহযোগিতা করছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মসিউর রহমান মামুন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মৎ রহিমা বেগম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান জিঠু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা বেগম, শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ কাইউম রতন, উপজেলা কৃষি অফিসার (অতিরিক্ত) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রুনা লায়লা, স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন বেপারী, শাহাবুদ্দিন বেপারীসহ উপজেলা কৃষি অফিসের বিভিন্ন ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ।