নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে চাঁদা না পেয়ে মারধর করে বসত বিল্ডিং নির্মাণ কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন সাগরের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আটপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পূর্ব আটপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহত নজরুল ইসলাম মৃধাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। এ ব্যাপারে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে আটপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল হোসেন সাগরসহ কয়েকজনকে বিবাদী করে থানায় একটি অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী আহত নজরুল ইসলামের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বড় ভাই জাকির হোসেনের সাথে জমিজমা নিয়ে ভাইদের মাঝে বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয়ভাবে এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ হলে ভাই জাকির হোসেন সালিশের কোন সিদ্ধান্ত মানেনি। পরবর্তীতে স্থানীয় মেম্বার আবুল হোসেন সাগর জাকির হোসেনকে বলে বিষয়টি মীমাংসা করে দিবে বলে ভুক্তভোগীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা চায়। ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ঘটনার দিন গেল মঙ্গলবার ইউপি সদস্য আবুল হোসেন (৪৮) তার সঙ্গীয় একই এলাকার মৃত বাবুলের ছেলে দিপু (২০), আঃ রাজ্জাকের ছেলে মামুন (৩৫), দেলোয়ার (৪০)সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন হাতে লোহার রড, লোহার পাইপ, হকিস্টিক ইত্যাদি নিয়ে বেআইনীভাবে ভুক্তভোগীর বাড়িতে প্রবেশ করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে বিল্ডিং নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। এতে ভুক্তভোগী প্রতিবাদ করায় তাকে এলোপাথারিভাবে লোহার রড, লোহার পাইপ, হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। ইউপি সদস্য আবুল হোসেন ভুক্তভোগীকে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে এবং পকেটে থাকা রড, সিমেন্ট ক্রয়ের নগদ ১ লক্ষ টাকা ও গলায় থাকা ১ ভরি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। পরে তার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সদস্য আবুল হোসেন সাগর গং চলে যায়।
বিল্ডিং নির্মাণ শ্রমিক সুমন মিয়া ও আলামিন জানায়, আমরা নির্মাণ কাজ করছিলাম ঐসময় আবুল মেম্বারসহ ১০/১২ জন লোক এসে আমাদেরকে নির্মাণ কাজ করতে নিষেধ করে। তখন মালিক নজরুল এগিয়ে আসলে তাকে লোহার রড দিয়ে মারধর করে এবং চাঁদা দাবি করে।
অভিযুক্ত আটপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল হোসেন সাগরের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাদের বাড়ীতে গিয়ে ঘটনার বিষয়ে কবে মীমাংসায় বসবে জানতে গেলে নজরুল ঘর থেকে রড নিয়ে আমাকে মারতে আসে। তখন আমার সাথে থাকা লোকজন রড কেড়ে নিয়ে তাকে আঘাত করে। আমি তার কাছে কোন চাঁদা চাইনি।
তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীনগর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক এসআই নবীন বিশ্বাস বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।