নিজস্ব প্রতিবেদক
গতকাল বুধবার দুপুর ২টায় নিশি (২৫) নামের এক নারীকে নিয়ে উপজেলার ঝুমর সিনেমা হল সংলগ্ন রাণী জেনারেল হাসপাতালে ঢোকেন তার স্বজনরা। হাসপাতালের চিকিৎসক সৈয়দ আবু সাঈদ তাকে ইনজেকশন পুশ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে গৃহবধূ নিশি নিস্তেজ হয়ে পড়েন। নিশির স্বজনরা সাথে সাথে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ প্রহলাদ কৃষ্ণ বর্মণ জানান, তিনি আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন। সাথে সাথে নিশির স্বজনরা লাশ নিয়ে রাণী হাসপাতালে চলে আসেন। এসময় রাণী হাসপাতালের ডাক্তারসহ মালিকপক্ষের সবাই পালিয়ে যায়। কাউকে না পেয়ে রোগীর স্বজনরা লাশ নিয়ে অবস্থান নেয়। তাদের আহাজারিতে হৃদয় বিদারক পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে পুলিশ এসে হাসপাতালটির মালিক হারুন-অর-রশিদকে ডেকে আনেন। নিশি বালাশুর বানিয়াবাড়ী এলাকার দ্বীন ইসলামের স্ত্রী। সে তার স্বামীর সাথে ঢাকায় বসবাস করতো। এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞা বলেন, রোগীর স্বজনরা লাশ নিয়ে গেছে। তারা থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। স্থানীয়রা জানায়, রানী হাসপালের বিরুদ্ধে এর আগেও অপচিকিৎসার অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ও ১ কর্মচারীকে ১ মাসের জেল প্রদান করেন। এর আগে ২০১৬ সালে হাসপাতালটিতে ১ প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় রোগীর স্বজনরা হাসপাতালটিতে চড়াও হলে র্যাব ও পুলিশ ২ ঘন্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ডাক্তার-কর্মচারীসহ পুলিশ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। একই বছর র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মোঃ সারোয়ার আলম প্রতিষ্ঠানটিকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল। স্বাস্থ্য সেবার নামে প্রতিষ্ঠানটি একের পর এক অনিয়মের ঘটনায় সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
শ্রীনগরে ইনজেকশন পুশ করার পর যুবতীর মৃত্যু ; রাণী হাসপাতালের বিরুদ্ধে একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ
আগের পোস্ট