নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগরে গত বছর বন্যার কারণে আখ চাষে লাভের মুখ দেখেনি অধিকাংশ কৃষক। আখ চাষে লোকসান কাটিয়ে উঠতে এবারও আখের চাষাবাদ করেছেন তারা। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশা নিয়ে আখের বাড়তি যত্ন নেয়ায় ও আগাম বর্ষার পানি চকে আসায় ফলনও ভালো হয়েছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই এসব জমির আখ পরিপক্ক হবে। পরিপক্ক আখ বিক্রির জন্য তোলা হবে। স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা পগছে, উপজেলায় প্রায় ১ শত হেক্টরের অধিক জমিতে আখের চাষ করা হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বীরতারা, সিংপাড়া, আটপাড়া ও তন্তর এলাকায় বেশকিছু জমিতে এসব আখের চাষ করা হয়েছে। এখানকার চকে বর্ষার পানি আসলেও বেশিরভাগ আখের উঁচু জমিতে এখনও জোয়ারের পানি আসতে দেখা যায়নি। জমিতে আখের পরিচর্যা করতে দেখা গেছে কৃষককে। বীরতারা এলাকার শেখ আবুল হোসেন নামে এক কৃষক বলেন, গত বন্যার পানিতে তার জমির আখ ডুবে সব নষ্ট হয়েছে। এতে তার প্রায় ১ লাখ টাকা লোকসান হয়। গতবারের লোকসান কাটিয়ে উঠতে এ বছর ৭০ শতাংশ জমিতে আখের চাষ করেছেন। কিছুদিন পরেই জমি থেকে আখ তোলা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি। অপর কৃষক আজগর হাওলাদার বলেন, ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পুনরায় আখের চাষ করেছি। জমিতে এখনও বর্ষার পানি আসেনি। সামান্য পানি আসলেই আখ বিক্রি শুরু করবেন তিনি। এছাড়াও একই এলাকার কৃষক আজাহার, আসলাম, আতাহারসহ অনেকেই জানান, গত বছরের আখে তাদের কোনও ব্যবসা হয়নি। বন্যার পানিতে জমির আখ জমিতেই পঁচে নষ্ট হয়েছে। এ বছর যদি এলাকা বন্যা কবলিত না হয় তাহলে আখ চাষে লাভবান হওয়ার আশা করছেন তারা। খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, এখানকার উঁচু জমিতে আখের চাষ করা হয়। জমির মালিককে প্রতি ৭ শতাংশ হিসেব অনুযায়ী ১ গন্ডা জমির জন্য আখ চাষে ১ হাজার টাকা দিতে হয়। এরপরেও এ চাষাবাদে অন্যান্য খরচ রয়েছে। আখ চাষে এই অঞ্চলে সরকারিভাবে কৃষকদের জন্য কোন সাহায্য সহযোগীতা আসেনা। তবে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে আখের রোগ-বালাই সংক্রান্ত বিষয়ে কৃষককে পরামর্শ দেওয়া হয়। শ্রীনগরে অমৃত ও ২৭ জাতের আখ বেশী চাষ করা হয়। প্রতি বছর আখের মৌসুমে শ্রীনগর ছনবাড়ি সংলগ্ন হরপাড়ায় অস্থায়ীভাবে একটি আখের আড়ৎ গড়ে উঠে। স্থানীয় বেশিরভাগ কৃষকই হরপাড়া আড়তে তাদের জমির আখ পাইকারীভাবে বিক্রি করে থাকেন। জানা গেছে, কৃষক বর্তমান পাইকারী বাজার দরে প্রতি পিস আখ গড়ে ৮ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।