নিজস্ব প্রতিবেদক
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম দিন দিন বাড়ছেই। এর সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে ঔষধ। সর্বনিম্ন ১০% থেকে ৭০% পর্যন্ত বেড়েছে ঔষধের দাম। যার কারণে সাধারণ মানুষের লাগামের বাইরে চলে যাচ্ছে।
কয়েকজন ঔষধ বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, আগে নাপা সিরাপ ২০ টাকা মূল্য ছিলো, সেটি এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা। প্রেসারের ঔষধ এঞ্জলেক ৫০এমজি যার আগে একপাতার মূল্য ছিলো ৮ টাকা বর্তমান মূল্য ১০ টাকা। ২০০ এমজির মেট্রোনিডাজল ট্যাবলেটের দাম ৪০ পয়সা বেড়ে ১ টাকা। ১ টাকার আড়াই’শ এমজির মেট্রোনিডাজল ট্যাবলেট ১.২৫ পয়সা। ১২ টাকা বেড়ে মেট্রোনিডাজল সিরাপের সর্বোচ্চ খুচরা দাম ৩৫ টাকা। আর ১০০ এমএল সিরাপের দাম ৫ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকা। অ্যান্টিবায়েটিক অ্যামোক্সিসিলিন সিরাপের দাম ৪ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা। ২৫০ এমজির প্রতিটি ক্যাপসুলের দাম ৪০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৪ টাকা। প্রতি প্যাকেট ১ টাকা বেড়ে ৬ টাকায় খাবার স্যালাইন। ভিটামিন সিরাপে বেড়েছে ৩০-৪০ টাকা করে।
শ্রীনগর বাজারে একটি ফার্মেসিতে ঔষধ ক্রয় করতে আসা শহিদুল শেখ জানান, আমার মায়ের জন্য প্রতি সপ্তাহে ৪৭০ টাকার ঔষধ লাগতো। এখন সেই ঔষধ কিনতে ৫৯৫ টাকা লাগে। দিন আনি দিন খাই আমি। মায়ের জন্য ঔষধ কিনতেই হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যে হারে বাড়ছে আমরা গরিবরা ঔষধ কিনতে গেলে চাল, ডাল কিনতে পারবো না।
ঔষধ ক্রয় করতে আসা মিজানুর বলেন, ওষুধের পাতায় দাম উল্লেখ না থাকার কারণে ওষুধ ব্যবসায়ী এবং ফার্মেসিগুলো ভুয়া ক্যালকুলেশন করে অসহায় সাধারণ মানুষকে চুষে খাচ্ছে।
সাধারণত ট্যাবলেট বা ক্যাপসুলের পাতায় সেগুলোর মূল্য মুদ্রিত থাকে না। ফলে দোকানদারদের মুখের কথার ওপর নির্ভর করেই সেগুলো ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে। প্রতিবার, প্রতিটি ক্ষেত্রে ওষুধের প্যাকেট দোকানদারের কাছ থেকে চেয়ে নেয়ার পর মোট মূল্য দেখে সেটাকে ভাগ করে প্রতি পাতার মূল্য বের করে ওষুধ কেনা দুরূহ ব্যাপার। তাছাড়া গ্রামের অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত মানুষ এতকিছু ঘেঁটে দেখেও না। এমনকি মফস্বল বা শহরের শিক্ষিতরাও এ নিয়ে মাথা ঘামায় না। আর এই সুযোগে ওষুধের মূল্য নিয়ে প্রতারণা করছে এক শ্রেণির বিক্রেতা। কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ- ওষুধের প্রতি স্ট্রিপ বা পাতায় মূল্য উল্লেখের বিষয়টি আমলে নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিন।