নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার সমসাবাদ এলাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এক যুবকের ২ বছরের ভাতিজা করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। গত ২ মে সমসাবাদ গ্রামের ওই যুবকের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শিশুটি করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যায়। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন সতর্কতার সাথে তার দাফন সম্পন্ন করেছে।
অপরদিকে উপজেলার বেজগাঁও গ্রামের ৫০ বছরের এক নারীর নমুনায় করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৩ জনে। তাদের মধ্যে ১ জন সুস্থ হয়েছেন ও ১ জন মারা গেছেন।
ডাঃ রেজাউল ইসলাম জানান, এর আগে আক্রান্ত ২২ জনের মধ্যে ভাগ্যকূল ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ্ব ১ জন পুরুষ, ৩ জন উপজেলার গোল্ডেন সিটি এলাকার ভাড়াটিয়া স্বামী-স্ত্রীর ও তাদের ৯ বছর বয়সী মেয়ে। ষোলঘর সেনপাড়ার ১ নারী, সমসাবাদের ১ যুবক ও বাকিরা এলাকার একই পরিবারের ৩ জন। সিংপাড়া এলাকার ২ জন, দেউলভোগ এলাকার ২জন, আটপাড়া এলাকার ১ জন, কবুতর খোলা এলাকায় ১ জন ও মাইজপাড়া এলাকায় ১ জন পুরুষ। আক্রান্ত আরো ১ জন হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী। তাদের মধ্যে মাইজপাড়া গ্রামের আক্রান্ত বৃদ্ধ গত বৃহস্পতিবার মারা যান। মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে তা পজিটিভ আসে।
বাকী ৫ জন পাটাভোগ ইউনিয়নের বেজগাঁও গ্রামের স্বামী-স্ত্রী ও ১ যুবক ও ফৈনপুর গ্রামের শ্বশুর এবং পুত্রবধু। তাদের মধ্যে ফৈনপুর গ্রামের পুত্রবধুর শ্বশুর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
ডাঃ রেজাউল ইসলাম আরো বলেন, কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের কারণে হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। কারো মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা নিকটস্থ স্বাস্থ্য সহকারীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য তিনি পরামর্শ দেন।