নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগরে খালের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার ও মাছের পোনা অবমুক্তকরণ করা হয়েছে। উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে কামারগাঁও খালে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা আবর্জনা জমে নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিলো। নোংরা পরিবেশে অতিষ্ঠ এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে প্রায় দুই সপ্তাহ যাবত খালের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করিয়েছেন স্থানীয় আব্দুল জব্বার মিন্টু ব্যাপারি। তিনি এলাকার বেকার যুবকদের কাজে লাগিয়ে খালের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের পাশাপাশি মাছের পোনা অবমুক্তকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এরই মধ্যে তিনি কামারগাঁও খালের প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকার ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে প্রায় দশ হাজার দেশি ও বিদেশি জাতের শিং, মাগুর মাছের পোনা অবমুক্তকরণ করেছেন। স্থানীয়রা জানান, কামারগাঁও খালের ময়লা আবর্জনা জমে এলাকাবাসীর খুবই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হতো। মশার উপদ্রব, ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে আমাদের বাচাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। এলাকার হাজী বাড়ির পক্ষ থেকে আব্দুল জব্বার মিন্টু বেপারী খাল পরিষ্কার ও মাছের পোনা অবমুক্তকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি এরই মধ্যে ১ কিলোমিটারের মত খালের ময়লা পরিষ্কার করে ফেলেছেন। যাতে আমরা খুবই খুশী। আব্দুল জব্বার মিন্টু বেপারী জানান, দীর্ঘদিন ধরে কামারগাঁও খালের ময়লা আবর্জনা জমে মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছিলো পুরো এলাকা। মশার কামড়ে ও দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসীর কথা চিন্তা করে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করি। সরকারিভাবে খালের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করানোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে এলাকার বেকার যুবকদের নিয়ে ময়লা পরিষ্কারের কাজ হাতে নিয়েছি। এরই মধ্যে প্রায় দুই লাখ টাকা ব্যয়ে খালের ময়লা পরিষ্কার ও মাছের পোনা ছাড়ার ব্যবস্থা করেছি। প্রত্যেক বাড়িতে ময়লা আবর্জনা ফালানোর জন্য ড্রাম ও গর্তের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এতে আমাকে সহযোগিতা করেছে নিয়াজ রহমান খান, তানভীর ইসলাম খান, হাজী শাহআলম, হাজী রেজাউল করিম, হাজী আতাহার, জহিরুল, হাজী রফিক, সহিদুল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম, আইয়ুব খানসহ আরো অনেকে। আব্দুল জব্বার মিন্টু ব্যাপারীর এ মহতী উদ্যোগ এলাকার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে।