নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ পারভীন আক্তার হত্যার ৭২ ঘন্টার মধ্যে স্বামী অহিদুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেছে পুলিশ। এতো স্বল্পসময়ে রহস্যবিহীন এ হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন, আসামি গ্রেফতার, আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রদান ও অভিযোগ পত্র দাখিল করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল মোমেন পিপিএম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করে পাষন্ড স্বামী অহিদুল (৩৮)। গত বুধবার রাতে সে তার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে বাঘাডাঙ্গা পুকুরে লাশ ফেলে আসে। পরের দিন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বালাশুর বানিয়াবাড়ি এলাকার বাঘাডাঙ্গার ঐ পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় পুলিশ স্ত্রী পারভীন আক্তার (৩৫) এর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ প্রথমে পারভীন আক্তারের স্বামী অহিদ মুন্সীকে তার অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ করে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে এবং পুলিশের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেয়। পরে তাকে মুন্সীগঞ্জের আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ এ হত্যার মূল রহস্য পেয়ে যায় এবং মাত্র ৭২ ঘন্টার মধ্যেই গতকাল রোববার সকালেই বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করতে সমর্থ হয়। নিহত পারভীন আক্তার ও অহিদ মুন্সী দম্পতির ৪টি সন্তান রয়েছে। তারা হলো- শম্পা (১৬), মিম (৮), জান্নাত (৪) নামে ৩ মেয়ে ও ছেলে ইয়াসিন (১২)। এতো অল্প সময়ে রহস্যবিহীন এ হত্যা মামলার মূল রহস্য উন্মোচন এবং আদালতে অভিযোগ পত্র প্রদান করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।