নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে নিখোঁজের প্রায় তিন সপ্তাহ পর এক গৃহবধুর কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার হাঁসারগাঁও এলাকা থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়। এসময় কঙ্কালের পাশে থাকা স্যান্ডেল, চুলের ব্যান্ড ও জামা দেখে অরিন নামে এক স্কুল ছাত্রী বলে সনাক্ত করেন কঙ্কালটির মা কুলসুম বেগম।
স্থানীয়রা জানায়, কুলসুম বেগম হাঁসাড়গাও গ্রামের ইকবাল শেখের স্ত্রী। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ইকবাল ৫ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার হয়। সে এখনও জেল হাজতে রয়েছে। ইকবাল জেলে যাওয়ার পরপরই কুলসুম বেগম তার বাবার বাড়ী উপজেলার রুসদী গ্রামে চলে যায়। তার ছেলে অয়ন (২০) মানিকগঞ্জ থাকে। মেয়ে অরিন বেলতলী জিজে উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
কুলসুম বেগমের ননদ হাসিনা বেগম জানান, কুলসুম বেগম কবে নিখোঁজ হয়েছেন তা সঠিকভাবে কেউ বলতে পারছে না। ইকবাল জেলে যাওয়ার পর থেকে কুলসুম বাবার বাড়ি বা শ্বশুর বাড়ির কোথাও নির্দিষ্টভাবে থাকতো না। তবে সর্বশেষ সে প্রায় ২০ দিন আগে তার মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতে যায়।
কুলসুম বেগমের ভাশুর মীর হোসেন বলেন, তার ভাতিজা অয়ন গত ২৯ জানুয়ারী মানিকগঞ্জ থেকে এলাকায় বিয়ের দাওয়াত খেতে আসে। তাকে নিয়ে এনজিওর লোকজন তার নানার বাড়ীতে গিয়ে কুলসুম বেগমের খোঁজ করে। কিন্তু ভাতিজা তার মায়ের নিখোঁজের বিষয়টি তাদের জানায়নি।
কুলসুম বেগমের বাবা আলী আকবর তার মেয়ের নিখোঁজের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে পারছেন না। তবে দুই পরিবারের লোকজন ধারণা করেছিল কুলসুম বেগম প্রেমের টানে কারো হাত ধরে হয়তো চলে গেছে।
কুলসুম বেগমের নিখোঁজের বিষয়ে তার ছেলে অয়ন, মেয়ে অরিন ও বাবা আলী আকবরের নির্লিপ্ততার কারণে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
কঙ্কালের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছেন শ্রীনগর থানার এস আই মুজাহিদ। তিনি জানান, কুলসুমের পরিবারের লোকজন বলছে, সে প্রায় তিন সপ্তাহ আগে নিখোঁজ হয়েছেন। কিন্তু কঙ্কাল ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।
শ্রীনগর থানার ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন জানান, একটি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যা মামলা রেকর্ড করে গতকাল শনিবার সকালে তা ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ প্রোফাইলের জন্য পাঠানো হয়েছে।