নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে জন চলাচলের কাঁচা রাস্তা দখল করে বাড়ির প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নে কেয়টখালী গ্রামের জার্মানী প্রবাসী মনির হোসেনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী এ অভিযোগ আনেন। এ বিষয়ে ওই এলাকার মহসিন নামক এক ব্যক্তি শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করলে অভিযুক্ত মনির হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাড়া করা সন্ত্রাসী বাহিনীর উপস্থিতিতে রাস্তা ঘেঁষে তোড়জোড় প্রাচীর নির্মাণ করছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কেয়টখালী গ্রামে ডাক্তার রোডের গ্রামীণ টাওয়ার থেকে মনিরের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণে ২০১৭ সালে ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক ১% রেজিষ্ট্রার খাতে ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রকল্পটি বরাদ্দ দিলেও ইউপি সদস্য সুলতান দায় সারাভাবে কাজটি সম্পন্ন করেন। মহসিন আলম ও এলাকাবাসী অভিযোগ এনে বলেন, এ রাস্তাটি করার সময় গ্রামের সকলেই বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে। যাদের জমি রাস্তায় পড়েছে তারা জমি দিয়েছে। কেউ কেউ আবার পাশের জমি থেকে রাস্তার জন্য মাটি দিয়েছে। মহসিন আক্ষেপ করে বলেন, রাস্তা নির্মাণের জন্য ত্রিশ হাজার টাকা দিয়েছি। সুলতান মেম্বার তখন বলেছিল ইউপি বরাদ্দ পেলে এলাকাবাসীর টাকা ফেরৎ দিবে। কিন্তু কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও কাহারো টাকা মেম্বার আজও ফেরৎ দেননি। অপরদিকে মনির হোসেন রাস্তা ঘেঁষে যেভাবে প্রাচীর নির্মাণ করছে ভবিষ্যতে জন চলাচলে দুর্ভোগের সীমা থাকবে না। এমনকি মৃত ব্যক্তির লাশের খাটিয়া নিয়েও বের হওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে জার্মানী প্রবাসী মনির হোসেনের ইমু নম্বর ও ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এছাড়া তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে কেউ কথা বলতে রাজি হননি। ইউপি সদস্য সুলতান আহমেদ বলেন, আমি কোন অনিয়ম করিনি। ইউপি বরাদ্দ দিয়েই রাস্তার কাজ করিয়েছি। এলাকার সবাই রাস্তার জন্য মাটি ও জায়গা দিয়েছে। আমি মনির হোসেনের পুকুর হতে চারটি মেশিন দিয়ে পানি সেঁচে তারপর মাটি কেটে রাস্তাটি করেছি। এ বিষয়ে ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রাম্যান আলহাজ মোঃ আজিজুল ইসলাম বলেন, জন চলাচলের রাস্তাটি মনির হোসেন প্রাচীর নির্মাণ করে বন্ধ করতে পারে না। ইউপি ১% রেজিষ্ট্রার খাতের বরাদ্দকৃত অর্থের অনিয়ম হয়েছে কিনা এ বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।