নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার শ্যামসিদ্দি ইউনিয়নে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে মারপিটে ৩ জন আহত হয়েছে। গত ২৬ মে মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার মধ্য সেলামতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ৩ জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ ব্যাপারে রুবেল খান বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মধ্য সেলামতি মৌজার কিছু জমি একই গ্রামের ছামাদ খান গত ৪ মাস পূর্বে আশরাফ হোসেন মিলনের নিকট থেকে ক্রয় করে। ইতিপূর্বে এ জায়গার উত্তর পাশ দিয়ে শ্যামসিদ্দি ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম. এ কাইয়ুম রতন পাড়ার লোকজনদের সুবিধার জন্য একটি রাস্তা নির্মাণ করলে এ জমির সামান্য কিছুু অংশ রাস্তার উত্তর পাশে হাশেম চৌকিদারে বাড়ী সংলগ্ন থেকে যায়। ছামাদ খান এ জমির ক্রয়সূত্রে মালিক বিধায় তিনি ঐ সামান্য অংশ জমিতে বিভিন্ন সময়ে গাছপালা বুনতে গেলে হাশেম চৌকিদার গং বাধা দেয়। এ নিয়ে ছামাদ খান ও হাশেম চৌকিদারের পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। গত ৩০ মার্চ বিকেলে ছামাদ খানের ছেলে রুবেল মোটর সাইকেল নিয়ে সেলামতি বাজারে গেলে উক্ত আক্রোশের জের ধরে হাশেম চৌকিদার গং রুবেলকে বাজারে পেয়ে মারপিট করে আহত করে। পরে চিকিৎসা শেষে বাদী হয়ে হাশেম চৌকিদার গংদের ১০ জনকে বিবাদী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যাহা শ্রীনগর থানার মামলা নং-১(৪)২০। হাশেম চৌকিদার গংদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় হাশেম চৌকিদারের পক্ষের লোকজন রুবেলের বাড়ীর লোকজনদের গালিগালাজসহ হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনা ফোনে ঢাকায় অবস্থানরত রুবেল ও শাহিনকে তার পরিবারের লোক জানালে গত ২৬ মে মঙ্গলবার ৩টার দিকে রুবেল ও শাহিন ঢাকা থেকে বাড়ীতে এসে রাস্তায় হাশেম চৌকিদারের ছেলে লিটনকে পেয়ে রুবেল তার পরিবারের লোকজনদেরকে গালিগালাজ ও হুমকি দেয়ার কারণ জানতে চাইলে লিটনসহ হাশেম চৌকিদার, আবু বক্কর, রিফাত, হিরা, ইদ্রিস বেপারী, খোকন, নয়ন তারা রেখা, জাকির ও মনির গং রুবেল ও শাহিনের উপর অতর্কিত আক্রমণ করে এবং তাদেরকে এলোপাথারীভাবে লাঠি, কাঠের ডাসা, লোহার রড দিয়ে মারপিট করে আহত করে। এসময় রুবেল ও শাহিনকে রক্ষা করার জন্য রুবেলের চাচাতো ভাই সোলাইমান, বাবা ছামাদ খান, বোন সুমি, রোজিনা, চাচী সানোয়ারা বেগম এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারপিট করে আহত করে। মনির লাঠি দিয়ে সোলাইমানের হাতে বারি মেরে ভাঙ্গা জখম করে। উভয়পক্ষের মারপিটের ঘটনা দেখে স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে তাৎক্ষনিক পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে জখমীদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে উভয়পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।