নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগরে ডাক ঘরগুলো ভূতের বাড়িতে পরিণত হয়েছে। হারিয়ে গেছে নানা রঙের খামের চিঠি আর লাল রঙের সেই ডাকবাক্স। বিলীন হয়ে গেছে ডাকপিয়ন, ডাকবাক্স ও ডাকঘরের কার্যকারিতা। কালের অতল গহ্বরে হারিয়ে যেতে বসেছে সরকারি টেলিফোন, ডাকঘরের চিঠি, টেলিগ্রাম। প্রত্যন্ত অঞ্চলের পোস্ট অফিস দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এটা অফিস না ভূতের বাড়ি। কোনো কোনো ডাকঘরের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও জনবলের অভাবে ভাঙা চেয়ার, টেবিল, কাঠের বাক্স আর খোলামেলা আলমারিতে কোনোমতে চলছে ডাকঘরের কার্যক্রম। প্রয়োজনীয় আলমারি না থাকায় অফিসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ফেলে রাখা হচ্ছে অরক্ষিত অবস্থায়। সে কারণেই বিভিন্ন মহল এক সুরে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন, চিঠি আদান-প্রদানের ব্যবস্থাটা যেন ডাক বিভাগ থেকে উঠে না যায়। হারিয়ে যাচ্ছে চিঠি আদান-প্রদান। কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হলে এখনো ডাক বিভাগকে ভিন্ন আঙ্গিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপ দেওয়া যায় বলে মনে করেন অনেক। বিশ্লেষকরা বলছেন, কুরিয়ার সার্ভিস যদি প্রযুক্তির যুগেও জনপ্রিয় হতে পারে তবে সরকারি ডাক বিভাগ কেন নয়, নিশ্চয়ই এক্ষেত্রে আমলাদের আন্তরিকতার ঘাটতি আছে বলে তাদের ধারণা। সিনিয়র সাংবাদিক মাহমদুল হাসান বলেন, আমাদের দেশের ডাক ও গ্রামীণ ডাক ব্যবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি হলেও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অবিভাগীয় ডাকঘর, ডাককর্মী এবং ডাক সার্ভিসের অবস্থা শ্রীহীন।