নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগরে এক দলিল লেখকের বিরুদ্ধে জাল দলিল সৃজনের অভিযোগ উঠেছে। শ্রীনগর সাব-বেজিস্ট্রারী অফিসের দলিল লেখক আব্দুর রশিদ মৃধা লিটনের বিরুদ্ধে এই জাল জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। সে পাটাভোগ ইউনিয়নের কামারখোলা গ্রামের বাসিন্দা। গত ৩০ নভেম্বর বুধবার দুপুরের দিকে ভুয়া দলিলদাতা সাজিয়ে একটি পাওয়ারনামা দলিল সৃজনের জন্য শ্রীনগর সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে দাখিল করেন। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে আব্দুর রশিদ মৃধা লিটনের বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতি করার তথ্য শুনতে পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাড়ৈখালী মৌজায় ১ একর ৩৮.৫০ শতাংশ ধানি জমির পাওয়ারনামা দলিলের জন্য দলিলদাতা এনআইডি কার্ড নকল করে ও টাকার বিনিময়ে এক ব্যক্তিকে ভুয়া দলিলদাতা সাজিয়ে দলিলটি সৃজনের জন্য দাঁড় করানো হয়। এসময় সাব-রেজিস্ট্রার রেহেনা বেগম জাল জালিয়াতের বিষয়টি বুঝতে পেরে আব্দুর রশিদ মৃধা লিটনকে তার অফিসে কিছুক্ষণ আটকে রাখেন। পরে রহস্যজনক কারণে লিটন মৃধাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দলিল লেখক জানান, আব্দুর রশিদ মৃধা লিটনের এই পেশা শুরুই হয়েছে জাল দলিল করার মাধ্যমে। এটা এখানকার সবাই জানেন। তবে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলেন না। এ ধরনের জাল জালিয়াতির ঘটনা এখানে প্রায়ই ঘটছে। সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সংশ্লিষ্টদের অনেকেই জানেন। তবে এসব ঘটনায় কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে অভিযুক্ত দলিল লেখকরা জাল জালিয়াতি করেও বারবার পার পেয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার নারিশা এলাকার মো. গুঞ্জুর আলী বেপারীর পুত্র মাহবুবুর রহমান বেপারী শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী মৌজার ওই জমির মালিক। প্রকৃত মালিকের অজান্তে জমিগ্রহীতা সৈয়দ আলী নূর ইসলাম ও দলিল লেখক আব্দুর রশিদ মৃধা লিটনের কারসাজিতে দলিলটি সৃজনের জন্য দাখিল করা হয়। দলিলগ্রহীতা সৈয়দ আলী নূর ইসলাম ঢাকার উত্তর শাহজাহানপুরের সৈয়দ নোয়াব আলীর পুত্র।
জানা যায়, ওইদিন দলিলদাতার জাতীয় পরিচয়পত্র নকল করে ভাড়া করে অন্য ব্যক্তিকে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে দাঁড় করানো হয়। জালিয়াতির কারণে দলিল লেখককে আটক করা হলে ভুয়া দলিলদাতা ও দলিলগ্রহীতা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত দলিল লেখক আব্দুর রশিদ মৃধা লিটনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব কথা ফোনে বলা যাবে না। এ বিষয়ে বসে সাক্ষাতে কথা বলবো বলে ফোনের লাইনটি কেটে দেন।
শ্রীনগর সাব-রেজিস্ট্রার মোসাম্মৎ রেহেনা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখন একাউন্টস অফিসে আছি। পরে কথা বলবো।