নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগরে দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বী এক মৎস্যচাষীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের মধ্যবাঘড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। একই এলাকার ননী গোপাল দাসের ছেলে ভুক্তভোগী স্বপন কুমার দাস (৫২) অভিযোগ করে বলেন, আমি এলাকার বিভিন্ন মানুষের পুকুর ভাড়া নিয়ে মৎস্য চাষ করে থাকি। বেশ কিছুদিন ধরে পাশর্^বর্তী আলম ডাক্তারের ছেলে নাজিবর (৪২) ও সাজিবর (৪০) কে প্রত্যেক মাসে ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হবে বলে জানায়। অন্যথায় মৎস্য ব্যবসা করতে দিবেনা বলেও নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিল। এছাড়া ঘটনার দিন গত রোববার সকালে আমার বাড়ির দুটি কড়ই গাছ লোকজন নিয়ে কাটছিলাম। এমন সময় নাজিবর ও সাজিবর আমাকে গাছ কাটতে বাঁধা দেয় এবং ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে নাজিবর আমার গলায় গামছা প্যাঁচ দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে লাঠি দিয়ে পিটাতে থাকে। অপরদিকে সাজিবর রামদা হাতে দাঁড়িয়ে থাকে এবং উপস্থিত স্থানীয় লোকজনদের হুমকি দিয়ে বলে, কেউ সামনে এগিয়ে এলে জবাই করে ফেলবো। এছাড়া এ বিষয়ে কোন ধরনের মামলা মোকদ্দমা করলে তোর বাড়িঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেবো বলে শাসিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন আহত অবস্থায় আমাকে শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করায়। এ ব্যাপারে সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য তাসলিমা আক্তারের স্বামী নাজিবরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বপন দাসের বাড়ির এ জায়গা নিয়ে আমাদের সাথে আদালতে মামলা রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্য সবাই জানে গাছ আটক দেয়া রয়েছে। তাই আমরা স্বপন দাসকে গাছ কাটতে নিষেধ করেছি। মারধর বিষয়ে স্বপন দাস বাদি হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি অভিযোগ করলে শ্রীনগর থানার এস আই আপন তদন্ত করেন। এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানার এস আই আপনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মারধর করা হয়েছে এটা সত্য।