নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের জজ বাড়িতে প্রতিবেশিদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে লিজকৃত বসতবাড়ির জন্য প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ওই এলাকার প্রায় ৩০টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার শঙ্কায় পড়েছেন। ওই এলাকার মঙ্গল তালুকদারের পুত্র সাহেদ আলী তালুকদারের বিরুদ্ধে রাস্তা আটকিয়ে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। দেয়াল নির্মাণকারী ওই ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে সরকারি জায়গায় প্রাচীর নির্মাণ করছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য চলাচলের রাস্তা রাখার জন্য বললেও সাহেদ আলী তালুকদার ও তার পরিবারের লোকজন কারও কথা শুনছেন না বলে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সরেজমিনে গিয়েও তার সত্যতা পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, জজ বাড়ি নামক ওই পাড়াটিতে ৩০টি পরিবারের বসবাস। এসব পরিবারের প্রায় ৩ শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ প্রতিনিয়ত রাস্তাটি ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে হঠাৎ করে সাহেদ আলী চলাচলের রাস্তাটি আটকিয়ে দেয়াল নির্মাণ শুরু করে। এতে ৫ ফুটের দুপায়া রাস্তাটি ২ ফুটে পরিণত হয়ে পড়ে। সাহেদ আলী তালুকদার ও প্রতিবেশীদের বসতবাড়ি সব লিজের জায়গা।
ভুক্তভোগী হাজী দুলাল হোসেন বলেন, এই পাড়ার সবাই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। এখন রাস্তা বন্ধ করে সাহেদ আলী দেয়াল বানাচ্ছে। লিজের জায়গা ভোগদখল করে তারা প্রতিবেশিদের কোন ভোগান্তির সৃষ্টি করতে পারেনা। সে কারও কথাই শুনছে না।
প্রতিবেশি নার্গিস, নয়নসহ কয়েকজন নারী অভিযোগ করে বলেন, রাস্তা বন্ধ করার জন্য দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে পাড়া-প্রতিবেশিরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে। এখানে প্রাচীর করা হলে হঠাৎ মানুষের বিপদ-আপদে অসুস্থ রোগী বহন করে একটি অটোরিক্সা তো দূরের কথা পাশাপাশি একটি খাটিয়া পর্যন্ত আনা নেওয়া সম্ভব হবে না। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কমানা করেছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে সাহেদ আলী তালুকদারের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রী কমলা বেগম জানান, তার স্বামী কাজে গেছেন। দেয়াল নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন, চলাচলে রাস্তা রেখে প্রাচীর করা হচ্ছে। প্রস্থে ২ ফুট পরিমাণ রাস্তা দিয়ে স্বাভাবিকভাবে মানুষ চলাচল করতে পারবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি দম্ভ করে বলেন, কেন পারবে না? দেয়ালের ওপর দিয়ে যাবে। বসতবাড়িসহ নির্মাণাধীন দেয়ালের জায়গাটির মালিকানা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানকার সব বাড়িই লিজের জায়গা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মজিবর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজ সকালে গিয়েও তাদেরকে দেয়াল নির্মাণের জন্য না করে আসছি। তারা কারও কথা শুনছেন না।
ষোলঘর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা এসএম আসাদুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ আসেনি। কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।