নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নে মান্দ্রা গ্রামে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হওয়া ড্রেজার পুনরায় চালুর পায়তারা করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। এই ড্রেজার ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত রবিবার ড্রেজারটি প্রশাসন বন্ধ করে দেওয়াকে কেন্দ্র করে মোঃ পলাশ শিকদার নামে এক যুবককে মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। এ বিষয়ে শ্রীনগর থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের মান্দ্রা ট্রান্সমিটার এলাকায় বেড়িবাঁধের সড়ক সুরঙ্গ করে ও এলাকার একটি ইটসলিংয়ের রাস্তা কেটে নেওয়া হয়েছে ড্রেজার পাইপ। পদ্ম নদীতে নোঙ্গর করা রয়েছে লাইসেন্সবিহীন ড্রেজার মেশিন যুক্ত একটি ট্রলার। সেখান থেকে লোহার ও প্লাস্টিকের পাইপ বিভিন্ন বাড়ির উপর দিয়ে টেনে নেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সমন্বয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভাগ্যকুল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলছে অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্য। এ সিন্ডিকেট চক্রটি জেলা প্রশাসকের অনুমতিপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যতিরিকেই এলাকার বিভিন্ন স্থানের ফসলি জমি, পুকুর, ডোবা, নালাসহ সরকারি খাস জমি অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালুভরাট কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মান্দ্রা ট্রান্সমিটার এলাকয় ড্রেজার ব্যবসায়ী জালাল শেখ, জাকির, নাহিদ হোসেন শামিম, কালাম মোড়ল ও রিফাত মোড়লসহ ৪/৫ জনের একটি সিন্ডিকেট সম্প্রতি বেড়িবাঁধের রাস্তা সুড়ঙ্গ করায় গত ৩ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসন তাদের পাইপ ভেঙ্গে দিয়ে আসে। পাইপগুলো ভেঙ্গে দেয়ার এক সপ্তাহ না পেরুতেই পুনরায় আবার সেখানে ড্রেজারের পাইপ লাইন টানা হয়েছে।
ড্রেজার ব্যবসায়ী জালাল বলেন, আমি এখন এই ব্যবসার সাথে জড়িত না। ভাঙ্গার আগে আমাকে সাথে রেখেছিল। আমার সাথে পলাশের ভাইয়ের বিদেশে একটি ঝামেলা ছিল সেই জের ধরে আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।
শ্রীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ব্যারিস্টার সজিব আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিব।