নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের বাঘাডাঙ্গায় একটি বসতবাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বারান্দাসহ টিনের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত পৌণে ৯টার দিকে হাজী আব্দুর রহমানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অপরদিকে ওই বাড়িতে যাওয়ার পথে বাঘাডাঙ্গা রাস্তার মাঝখানে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি থাকার কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আটকা পড়ে। এতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাঘাত ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় রাস্তার মাঝখানে ঝুঁকিপূর্ণ পল্লী বিদ্যুতের খুঁটিটির সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
স্থানীয়রা জানায়, রাতে হঠাৎ করে আব্দুর রহমানের বসতবাড়িতে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান। খবর পেয়ে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে বাঘাডাঙ্গা হাওলাদার বাড়ি ও মীরবল বাড়ির সামনে রাস্তার মাঝখানে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির কারণে আটকা পড়ে। পরে বাধ্য হয়ে পানির মোটর, পাইপ, জেনারেটরসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ভ্যানগাড়িতে করে ঘটনাস্থলে আনা হয়েছে। প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
হাজী আব্দুর রহমানের পুত্র দেলোয়ার হোসেন জানান, ১টি দোতলা ঘরসহ আসবাবপত্র ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র পুড়ে ১০ লাখ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের বাড়ির ৪শ’ ফুট দূরে রাস্তার মাঝখানে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে পারেনি। এতে করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট বিলম্ব হয়। এর আগে খুঁটিটি সরাতে সংশ্লিষ্টদের একাধিকবার বলা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রফিক মোল্লা বলেন, রাস্তার মাঝখানে খুঁটির বিষয়ে একাধিকবার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে বলা হলেও কোন কাজ হয়নি। এতে আমাদের রাস্তায় যাতায়াতসহ নানা কাজে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
ভাগ্যকুল বালাশুর পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনালের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার গোলাম কিবরিয়ার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুঁটি কোন জায়গায় বলেন, আমি লোক পাঠাচ্ছি।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সাব-অফিসার মো. শাহ আলম বলেন, রাস্তায় বৈদ্যুতিক খুঁটির কারণে কাজে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ঘন্টাখানেক চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত জানতে তদন্ত চলছে।