নিজস্ব প্রতিবেদক,১ অক্টোবর: মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মামুন কবিরের বিরুদ্ধে স্থানীয় বিএনপি’র এক নেতাকে যুবলীগে পুনর্বাসন করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা ভাগ্যকুল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সদস্য ও ২০১০ইং সালে ভাগ্যকুল ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলের ভোটার লিংকু সরদার কে যুবলীগে পুনর্বাসন করার অভিযোগ করেন।
লিংকু সরদার ভাগ্যকুল ইউনিয়ন যুবলীগের পদের জন্যও দৌর ঝাপ করছেন বলে শোনা যাচ্ছে।লিংকু সরদার যুবলীগের পদ পেলে অন্য দলের কাছে বিক্রি হয়ে যাবেন বলেও দাবি করেন অনেক আওয়ামীলীগ নেতা।
জানাগেছে বজলুর রহমান সরদারের পুত্র লিংকু সরদার দীর্ঘদিন যাবৎ বিএনপি পন্থী রাজনীতি করে আসছে। হঠাৎ করে পদ পদবি ও বিশেষ সুবিধা পাবার আশায় যুবলীগে যোগদান করেন ও ভাগ্যকুল ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন কবিরের ব্যানার ফেস্টুনে নিজের ছবি দিয়ে প্রচার প্রচারণা শুরু করেন।এতে বিস্মিত হয়ে উঠে ভাগ্যকুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সহ এর সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা। ভাগ্যকুল ইউনিয়নের অনেক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক এ বিষয়ের সত্যতা শিকার করেছেন।
অপরদিকে ভাগ্যকুল ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন কবির তার দলভারী করার উদ্দেশ্যে বিএনপি নেতাকে যুবলীগে পুনর্বাসন করার সুযোগ তৈরি করে দিয়ে আওয়ামীলীগে সমালোচনার সৃষ্টি করেছেন। মামুন কবির ভাগ্যকুল ইউনিয়ন যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে অনেক বিএনপির নেতা কর্মীদের ভাড়ায় এনেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ভাগ্যকুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মনির হোসেন মিটুল বলেন, মামুন কবির বিএনপির লোককে যুবলীগে পূনর্বাসন করেছে তা অনেকেই জানে। যা ভাগ্যকুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও তথা শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠন কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এর সঠিক বিচার হওয়া প্রয়োজন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভাগ্যকুল ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা জানান, মামুন কবির যুবলীগের পদ পদবী পাওয়ার জন্য মিছিল মিটিংয়ে অনেক সময় বিএনপির লোকজন হায়ার করে এনেছেন যা ভাগ্যকুল ইউনিয়ন যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের সময় অনেকের চোখেই পরেছে। বিএনপি নেতা লিংকু সরদার তো তার খাস লোক।
ভাগ্যকুল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকিবুল আলম পাপ্পু বলেন এইটা দিবালোকের মত সত্য যে লিংকু সরদার বিএনপির লোক তাদেরকে যুবলীগে ভিড়ানো মানে আমরা আশা করি দল এই ব্যাপারে আসু পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এবিষয়ে ভাগ্যকুল ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন কবিরের সাথে যোগাযোগের একাধিক বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।