নিজস্ব প্রতিবেদক
সারা দেশের ন্যায় শ্রীনগর উপজেলায় প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে টমেটো, পেঁপে, বরবটি ও ঢেঁড়সসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি। এ বিষয়ে পরস্পরকে দোষারোপ করছেন ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে শ্রীনগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের পাঙাস-তেলাপিয়া থেকে শুরু করে দেশি প্রজাতির সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। আগে বাজারে প্রতি কেজি পাঙাস বিক্রি হতো ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা এখন ২১০ থেকে ২২০ টাকায় ঠেকেছে। অন্যদিকে তেলাপিয়া মাছের কেজি হয়েছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, যা আগে ১৮০-২০০ টাকায় কেনা যেতো। অন্যান্য চাষের মাছগুলোও বেশ বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। তাজা রুই, কাতলা, মৃগেল বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজিতে, যা আগে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা ছিলো। এদিকে মাছের মতো বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। খাসির মাংসের দাম প্রতি কেজি ১২৫০ টাকা। বকরির মাংস ১০০০ টাকা।
মাছ, মাংসের মতো অস্থিরতা দেখা গেছে সবজির বাজারে। বাজারভেদে পটল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, কাঁকরোল ৯০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, করলা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মূলা ৬০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে মুদি বাজারে তেল, চিনি, আটা, ময়দাসহ অন্যান্য বেশকিছু পণ্য বাড়তি দামে আটকে রয়েছে। প্রতি কেজি বোতলজাত সয়াবিন তেল ২০০ টাকা এবং চিনি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশি। মসলার বাজারে আদার দামে অস্থিরতা কাটেনি। এক কেজি আদা কিনতে এখন গুনতে হচ্ছে ৩০০ টাকার বেশি। অন্যদিকে আমদানি করা চীনা রসুনের দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা ৩০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা।
শ্রীনগর বাজারের সবজি বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। যার কারণে খুচরা বাজারে সবজির দাম চড়া।
দিনমজুর শহীদ মিয়া বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বেড়েছে, এর সঙ্গে সঙ্গে সবজির দামও অনেক বাড়তি। আমাদের মত দিনমজুর মানুষদের এখন অনেক কষ্টে দিন কাটছে। বাজার করতে গেলে টাকা শেষ হয়ে যায়, কিন্তু বাজারের ব্যাগ ভরে না।