নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মামলা মোকদ্দমার জের ধরে নারীসহ ২ জনকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ১৯ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কামারগাঁও এলাকায় এই মারধরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহত ইনদাদ মোল্লা (৪৫) ও তার স্ত্রী আকলিমা বেগম (৩৫)কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে ইনদাদ মোল্লা বাদী হয়ে নুরু খাঁ(৬০)সহ ৮ জনকে বিবাদী করে বিজ্ঞ আদালতে সি.আর মামলা নং-৩০৯/২২ দায়ের করেন। যা সংশ্লিষ্ট থানাকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে এফআই আর হিসেবে গণ্য করার আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদী ইনদাদ মোল্লার সম্পত্তি একই এলাকার মৃত জুম্মন খাঁর ছেলে ভগ্নিপতি নুরু খাঁ (৬০), ছোট ভাই ফয়েজ মোল্লা (৪২), আসলাম মোল্লা (৩৭), ভাগিনা রাজন খাঁ (৩১), বড় বোন চঞ্চল (৫০), ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সেলিনা বেগম (৩৫), নিপা বেগম (৩০), ভাগনি সুমি বেগম (৩০)গং জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে সি.আর মামলা নং-১১৯/২২ দায়ের করেন। বাদী উক্ত মামলা করার আক্রোশে নুরু খাঁ গং গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে হাতের দা, লাঠিসোটা, লোহার রড, কাঠের ডাসা ইত্যাদি নিয়ে বাদী ইনদাদের বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে ঘরের দরজা লাথি দিয়ে ভেঙ্গে প্রবেশ করে নুরু খার হুকুমে ফয়েজ মোল্লার হাতে থাকা দা দিয়ে খুন করা উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মেরে গুরুতর আহত করে। স্ত্রী আকলিমা বেগমকে চুলের মুঠি ধরে টেনে উঠানে এনে এলোপাথারী লাঠি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও ঘরের ড্রয়ারে থাকা নগদ টাকা নিয়ে যায়। এসময় নুরু খাঁ গং বাদীর ঘরের টিনের বেড়া দরজা ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করে। আহত স্বামী-স্ত্রীর ডাকচিৎকারে প্রতিবেশী অমি (৩০)সহ আরো লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
প্রতিবেশী গোলাম হোসেনের ছেলে অমি, দিপুর স্ত্রী মুনমুন বেগম, মিঠু মোল্লার স্ত্রী তাজেরা বেগম, রহিম মোল্লার স্ত্রী জোৎস্না বেগম জানান, নুরু খাঁ ও স্ত্রী চঞ্চল, ছেলেমেয়েসহ ভাই ফয়েজ মোল্লা, আসলাম মোল্লা গং জোরপূর্বক ইনদাদের জমি দখল করে নেয়ার জন্য তাদের স্বামী-স্ত্রীকে প্রতিনিয়ত গালিগালাজসহ মারধর করে থাকে। ঐ রাতে তাদেরকে আমরা না থাকলে মেরেই ফেলতো। নুরু খাঁ ও স্ত্রী চঞ্চলের অত্যাচারের আমরা এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি।
শ্রীনগর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মেরাজুল বলেন, একটি সি.আর মামলা পেয়েছি। এখনও মামলা রেকর্ড হয়নি। তবে মামলা রেকর্ড হবে।