নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের কামারগাঁওয়ের মাঠপাড়ায় ব্যক্তি মালিকানা জায়গা দখল করে জোরপূর্বক একটি রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। সংযোগ রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রায়হান কিবরিয়া তিলক নামে এক ব্যক্তি একই এলাকার ইউসুফ হাওলাদারের (৫৬) বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এছাড়াও কাজটি বন্ধ রাখার জন্য ইউএনও বরাবর লিখিত আবেদন করেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠপাড়া পাকা সড়ক সংলগ্ন আব্দুল কাইউমের বাড়ির সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে পূর্বদিকে ইউসুফ হাওলাদারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ২০০ ফুট রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। জানা গেছে, এডিপির ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দে নির্মাণাধীন রাস্তাসহ দক্ষিণ পাশে রায়হান কিবরিয়া তিলক গংদের মালিকানা সম্পত্তি রয়েছে। প্রায় ৭ ফুট প্রস্থ রাস্তাটি নির্মাণ কাজের জন্য পার্শ্ববর্তী জায়গায় বাঁশ ও টিনের বেড়া দিয়ে রাস্তায় মাটি ভরাট করা হয়। স্থানীয়রা জানায়, কয়েকটি বাড়ির জন্য রাস্তাটি নির্মাণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সরকারি বরাদ্দ দেন। গত ১০/১২ দিন আগে রাস্তা নির্মাণ শুরু হয়। খবর পেয়ে জায়গার মালিক রায়হান কিবরিয়া তিলক গং বাঁধা প্রদান করলে ইউসুফ হাওলাদার গংরা মারমুখী হয়ে উঠে। এতে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। রায়হান কিবরিয়া তিলক অভিযোগ করে বলেন, আমার মালিকানা জায়গার ওপর দিয়ে ব্যক্তিস্বার্থে রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে। আমরা ঢাকায় বসবাস করার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোনপ্রকার আলাপ আলোচনা ছাড়াই আমাদের মালিকানা জায়গা দখল করা হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানের স্বজনপ্রীতির কারণে অন্যের মালিকানা জায়গা দখলে নেয়ার সুযোগ পেয়েছে ইউসুফ হাওলাদার গং। বাঁধা প্রদান করলে ইউসুফ হাওলাদাররা মারমুখী হয়ে উঠে। উপায় না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। ইউসুফ হাওলাদার গংদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, সাবেক চেয়ারম্যানের আমলে রাস্তায় মাটি ফেলা হয়েছিল। গত ৪০ বছর যাবত এখান দিয়ে কয়েকটি পরিবার যাতায়াত করছি। ভাগ্যকুল ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মনোয়ার হোসেন শাহাদাত জানান, ১৯৯২ সালে সরকারিভাবে মাটি ফেলা হয়। তবে তিনি স্বীকার করেন নির্মাণাধীন রাস্তাটি কোন রেকর্ডকৃত রাস্তা নয়। অভিযোগটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শ্রীনগর থানার এস আই তন্ময় জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইপক্ষকে জায়গা পরিমাপের জন্য বলা হয়েছে। তাদেরকে বলা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে। এ ব্যাপারে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণব কুমার ঘোষ জানান, লিখিত অভিযোগটি হাতে পেয়েছি। এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে।