নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার শ্রীনগর বাজার, আলামিন বাজারে রং মেশানো মাগুর মাছ ও শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে। ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরের বিদেশি মাগুর মাছকে দেশি মাছ বলে ১০০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। বিক্রিও হচ্ছে ভালো। সুন্দর লোভনীয় একেবারে অবিকল দেশী শিং ও মাগুর মাছের মত রং হওয়ার কারণে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছেন কেউ কেউ। এদিকে মাছের গায়ের রং সুন্দর হওয়ার ফলে দামের বিষয়টি নজরে আনছেন না ক্রেতারা। কিন্তু একটু খেয়াল করলেই দেখা মিলবে মাছের গায়ে লাগানো অতিরিক্ত রঙের প্রলেপ। মাছের গায়ে আঁচড় কাটলে উঠে আসছে ক্ষতিকর রং। মাছ কচলে ধুয়ে নিলে সেই জল হয়ে যাচ্ছে হলদেটে। শ্রীনগরের আলামিন বাজারে রং দিয়ে বিক্রি করতে দেখা গেছে। মাগুর ও শিং মাছে রং দিলে তা আকর্ষণীয় আর দেশী মাছের মতো দেখায় এবং অন্যান্য মাছে রং দিলে পচনও রোধ হয় বলে দাবি মাছে রং ব্যবহারকারীদের। খোকা হোসেন নামে রং দেওয়া মাছের একজন ক্রেতা জানান, বাজারে এসে যেই মাছ সতেজ ও টাটকা দেখায় সেই মাছই কিনি। মাছে যে রং মেশানো হয় তা তো জানতাম না। তাজা ও দেশী মাগুর মাছ অনেককাল দেখিনি। হঠাৎ বাজারে দেখি ১০০০ টাকা দাম চেয়েছিল ৮০০ টাকা কেজি দরে এক কেজি নিয়েছি। সবচেয়ে বেশি দাম দিয়ে কিনে তো আরও ক্ষতি হচ্ছে তাহলে।
রং মিশিয়ে যারা ক্রেতাদের ঠকায় তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। দ্রুত ক্ষতিকর রং মেশানো মাছ যাতে বাজারে বিক্রি না হয় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি স্থানীয়দের।
এদিকে রং দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে মাছ বিক্রেতা ইউনুস বলেন, রং দিলে মাছ একটু ভালো ও দেশী মাছের মতো দেখায়। ক্রেতারাও বেশি দামে প্রচুর মাছ কেনেন। তাই হয়তো অল্প পরিমাণে রং দিয়ে মাছ বিক্রি করছে সবাই। এতে স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হয় না বলে দাবি করেন তারা।
রং দেয়া মাছ খেলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বলছে, সত্যতা পেলে অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে।