নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে একটি এলইজিডি রাস্তার সংস্কার কাজে ব্যবহারকৃত রোড রোলার প্রায় ২ মাস যাবত ওই রাস্তার মাঝখানে রেখে দেওয়ায় স্থানীয় ও পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার বাড়ৈগাঁও-বিবন্দী নামক রাস্তার টুনিয়ামান্দ্রা ও বিবন্দীর অংশে রোলারটি বেহাল করে ফেলে রাখে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আবিদ এন্টারপ্রাইজ এর কর্ণধার ও উপজেলা যুবলীগ নেতা মোঃ হানিফ বেপারী। এতে করে প্রাইভেট কার, এম্বুলেন্সসহ কৃষি পণ্যবাহী ট্রাক কোনভাবেই চলাচল করতে পারছেনা। অটো, রিক্সা ও মোটরসাইকেল ঝুঁকি নিয়েই যাওয়া আসা করছে। যেকোন সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী একাধিকবার ঠিকাদার মোঃ হানিফ বেপারীকে রোলারটি সরিয়ে নিতে বললেও এতে কোনও প্রকার কাজ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ২ মাস আগে ২ কিলোমিটার ওই রাস্তা সংস্কার কাজে ঠিকাদার হানিফ বেপারী কাজ শুরু করে। রাস্তার কাজ প্রায়ই শেষের দিকে, এখন শুধু পিচ ঢালাইয়ের অপেক্ষা। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের ঘোষণা শুরুর কয়েকদিন আগেই হঠৎ করে রোলারটি রাস্তার মাঝখানে পড়ে থাকতে দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা জানতে পারেন রোলারটি বিকল হয়ে যাওয়ায় ড্রাইভার এখানে ফেলে চলে গেছেন। এরপর থেকে এভাবেই ব্যস্ততম রাস্তার মাঝখানে বেহাল অবস্থায় পরে আছে রোলারটি অভিযোগ এলাকাবাসীর। এসময় লক্ষ্য করা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (মুন্সীগঞ্জ) জেসব নং-২ এর প্রায় কোটি টাকার সরকারি রোড রোলারটি অযত্নে ও অবহেলায় পড়ে আছে। এতে করে রোলারের চাকা মাটিতে দেবে গেছে। এছাড়াও খোলা আকাশের নিচে ঝড় বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে সরকারি এই রোড রোলারটি। অন্যদিকে রাস্তার মাঝখানে রোলারটি হাজারো মানুষের চলাচলে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসময় পথচারী জসিম, রিয়াজ, অটোচালক নুরজামানসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, এটার কারণে আমরা চলাচল করতে পারছিনা। অসুস্থ রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে পারছিনা। সহজ রাস্তা রেখে অনেক রাস্তা ঘুরে সময় অপচয় করে প্রয়োজনীয় কাজেকর্মে যেতে হচ্ছে। এতে করে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ুম মিন্টু বলেন, মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে একাধিকবার ঠিকাদার মোঃ হানিফ বেপারীকে রোলারটি সরানোর জন্য বলেছি। কিন্তু তিনি সরানোর কথা বলেও সরাচ্ছেন না। এ বিষয়ে মেসার্স আদিব এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার মো. হানিফ বেপারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোলারটি তার নয়। এটি স্থানীয় সরকার জেলা ও স্থানীয় প্রকৌশল অফিসের। ঠিকাদার হিসেবে রোলারটি সরানো আপনার দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আমাকে জানিয়েছেন। তবে লকডাউনের কারণে নষ্ট রোলারের কোন পার্টসপত্র পাওয়া যাচ্ছেনা। শ্রীনগর উপজেলা প্রকৌশলী (এলইজিডি) মো. রাজিউল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। তবে এখনি সরিয়ে আনতে বলছি।