নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে শ্বশুরবাড়ি থেকে জোরপূর্বক এক নববধূকে উঠিয়ে নেওয়ার পায়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ৩১ মে রোববার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের রুদ্রপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নববধূ মুহু আক্তারের শ^শুর জসিম উদ্দিন শেখ জানায়, প্রায় তিন বছর ধরে তার ছেলে সৌদি প্রবাসী আবিরের সাথে ভাগ্যকুল ইউনিয়নের কামারগাঁও এলাকার কাদির বেপারির মেয়ে বিক্রমপুর আদর্শ কলেজের অনার্সের ছাত্রী মুহু আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৭ মে বুধবার রাত ৮টার দিকে মুহু আক্তার হঠাৎ আবিরদের বাড়িতে চলে আসে। তিনি ও তার নিকট আত্মীয়স্বজন মুহুয়াকে তার নিজ বাড়ি কামারগাঁওয়ে ফিরে যেতে অনেক বুঝালেও কোন কাজ হযনি। বরং মুহু আক্তার তাদেরকে জানায়, সে আর বাড়িতে ফিরে যাবেনা। বাড়ি ফিরে যেতে বললে সে আত্মহত্যা করবে। একপর্যায়ে তারা এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ইসমাইল শেখসহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শে ওই রাতেই মোবাইলের মাধ্যমে মুহু আক্তার ও আবিরের রেজিষ্ট্রি কাবিন করে বিয়ে দেয়। গত শুক্রবার নববধূ মুহুর বড় ভাই রিফাত ও বোনজামাই শাহাদাত আত্মীয়স্বজন নিয়ে মুহুকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে আসলে মুহু তাদের ফিরিয়ে দেয় এবং আত্মহত্যার হুমকি দেয়। নববধূ মুহু আক্তার বলেন, হঠাৎ আজ (রোববার) ২টার দিকে আমার ভাই রিফাত ও বোনজামাই শাহাদাতের নেতৃত্বে রহমান, তোফাজ্জল, সোহেল, জহিরুল, মরনখা, শফিকুলসহ প্রায় ২০/২৫ জনের একটি দল সাদা মাইক্রো ও কয়েকটি মোটর সাইকেল নিয়ে আমার শ^শুরবাড়ির সামনে আসে এবং তরিঘড়ি করে আমাকে জোরপূর্বক ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করার চেষ্টা করলে আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। একপর্যায়ে তাদের কাছ থেকে আমাকে ছাড়িয়ে নিতে আমার শ^শুরবাড়ির লোকজনসহ এলাকাবাসীর সাথে ধস্তাধস্তি হয়। আমরা বাঘড়া ফাঁড়িতে ফোন দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে তারা সটকে পড়ে। মুহুয়া আরো বলেন, আমি ও আমার শ^শুরবাড়ির লোকজন তাদের ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। যেকোন সময় তারা আমার শ^শুরবাড়ির লোকজনের উপর হামলা করতে পারে। এ বিষয়ে জানতে বাঘড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ আজিজুল হক ভূইয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শ্রীনগরে শ্বশুরবাড়ি থেকে জোরপূর্বক নববধূকে উঠিয়ে নেওয়ার পায়তারা
আগের পোস্ট