নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর উপজেলার আটপাড়া ইউনিয়নের শিমুলতলীতে সরকারি খাল দখল করে মাটি ভরাট করা ও রাস্তার গাছ কর্তন করা হয়েছে। ওই গ্রামের শামীম আহম্মেদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠে। কর্তনকৃত গাছের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার শ্রীনগর-মুন্সীগঞ্জ সড়কের আটপাড়া এলাকার শিমুলতলী সড়কের দক্ষিণ পাশে জুলহাসের বাড়ির সামনে সরকারি খালের ওপর নির্মিত সেতুর নিচ থেকে ভেঁকু দিয়ে মাটি কেটে তার পাশেই দৃশ্যমান খালের একটি অংশ ভরাট করা হচ্ছে। অপরদিকে ওই সেতুর দক্ষিণ পাশের রাস্তা থেকে ১টি কড়ই ও ১টি মেহগনি গাছ কাটছেন শামীম আহম্মেদ নামে এক ব্যক্তি। এসময় শামীম আহম্মেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি দম্ভ করে বলেন, খালের পাশে ভরাটকৃত জায়গাটি তার মালিকানা সম্পত্তি। রাস্তাটিও তার মালিকানা জায়গার ওপরে আছে, তাই তিনি গাছ কর্তন করছেন। ব্রিজের নিচ থেকে ভেঁকু দিয়ে মাটি কেটে নেওয়ার বিষয়ে তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, শামীম আহম্মেদ হঠাৎ করে সকালে ভেঁকু দিয়ে খালের মাটি কাটাসহ খাল ভরাট কাজ শুরু করে। খাল দখলের পাশাপাশি প্রায় লাখ টাকার মাটি কেটে নেন তিনি। এতে করে অনেকেই এ কাজের প্রতিবাদ জানান। কারণ হিসেবে জানা যায়, সেতুর নিচ থেকে যেভাবে মাটি কাটা হয়েছে তাতে সেতুর দক্ষিণ পাশের এপ্রোচ হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কায় স্থানীয়রা এই প্রতিবাদ করেন। এছাড়াও সরকারি রাস্তার গাছ কর্তনের বিষয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। আরো জানা গেছে, পাকা সড়ক থেকে দক্ষিণ দিকে রেকর্ড অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ খালটি সর্বোচ্চ ৯০ ফুট প্রস্থ। কোথাও কোথাও খালের প্রস্থের পরিমাণ কম বেশী রয়েছে। অপর একটি সূত্র জানায়, সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করেই শামীম আহম্মেদ খাল ভরাটের কাজ করছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মজিবর জানান, খালের মাটি কেটে তার পাশেই খাল ভরাট কাজের প্রতিবাদ করি। তাতে কোন লাভ হয়নি।
উপজেলা বনবিভাগ কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তার গাছ কর্তনের বিষয়টি তার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. ইমাম হোসেনের সাথে যোগাযোগের (০১৭৬৪৫৭৬৯৬৮) চেষ্টা করা হলে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।