নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগরের পূর্ব আটপাড়া গ্রামের মামা ভাগিনার মধ্যে সরকারী ৬৩ শতাংশ জমি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়। গত শুক্রবার বিকাল ৪টায় পূর্ব আটপাড়া গ্রামের মাঝি বাড়ীর সাইদ মাঝির বাড়ীতে সালিশ করার জন্য একই গ্রামে মৃতঃ শেখ আনোয়ার হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান মিজান (৩৫) বাদী করেন তার নানা মৃতঃ হাবিবুর রহমান হবি মাঝি তার বাবা থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে ৬৩ শতাংশ ক্ষেত চাষাবাদ করে খাওয়ার মৌখিক চুক্তি করেন। কিন্তু গত ৩ মাস আগে জানতে পারে ঐ ৬৩ শতাংশ জমি তার বড় মামা খলিলুর রহমান মাঝি ও মৃত কেফু মাঝির ছেলে বাবুল মাঝি (৪৮) দুইজন মিলে মিথ্যা নামজারিসহ দলিলপত্র করে ফেলেছে নিজের নামে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সালিশের জন্য এলাকার চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে বিষয়টি জানিয়েছেন বলে জানা যায়। সরকারি সম্পত্তির বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার মুরুব্বিরা বিচার সালিশে আসতে মানা করলে সালিশ বন্ধ করে দেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব আটপাড়া গ্রামের পূর্বের চকে কালার ক্ষেত নামে পরিচিত সরকারী ৬৩ শতাংশ সম্পত্তি ভূমিদস্যু মিজান ও জসিমরা ভোগদখল করে আসছে কিন্তু খলিল ও বাবুল জাল দলিল করে সরকারি সম্পত্তি নিজের নামে করায় মিজান সম্পত্তি পুনঃউদ্ধারের জন্য বিচার সালিশ ডাকে। সরকারী সম্পত্তি জাল দলিলের পেছনে খলিলের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম মাঝি (গিরিঙ্গি নজু) এ বিষয়ে পারদর্শী এবং ওয়ারিশদের সম্পত্তি নিজের নামে করে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে মিজানের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি দাম্ভিকতার সাথে বলেন পরে পরে। খলিলুর রহমান মাঝি ও বাবুল মাঝির সাথে যোগাযোগ করলে তাদের কাউকে বাসায় পাওয়া যায়নি এবং মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তার নাম্বারটি ব্যস্ত পাওয়া যায়।