নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে স্বজনপ্রীতি করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলরদের নামের তালিকা তৈরী করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আগামী ১৭ নভেম্বর শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আর কাউন্সিলকে সামনে রেখে রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের বালাশুর ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলরদের নামের তালিকায় আত্মীয়করণ ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠে। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একাধিক প্রবীণ ব্যক্তি ক্ষোভকন্ঠে অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল হাসেম মোল্লা হাসুর পাশাপাশি মোঃ রিপন বেপারী, মোঃ হানিফ বেপারী ও আতিকুর রহমান অপু বেপারীর কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা রয়েছে। অথচ আবুল হোসেন মোল্লা হাসু পরাজয়ের আশঙ্কায় নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মোঃ ফয়সাল আহাম্মেদ, আপন ভাই মোশারফ হোসেন মোল্লা, আক্তার মোল্লা, চাচাত ভাই ইসরাফিল মোল্লা, বিএনপি নেতা ও ভাগিনা কুদ্দুস আহাম্মেদ, আপন বিয়াই নজরুল বেপারী ও সামসু ঢালীসহ একাধিক ব্যক্তির নাম রেখে বালাশুর ২নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলরদের নামের তালিকা গঠন করেছেন। অথচ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা হারুন বেপারী, আনসার বেপারী, জুয়েল মুন্সী, মান্নান মোড়লসহ একাধিক ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে হারুন বেপারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আবুল হাসেম মোল্লা হাসুর ধারনা কাউন্সিলে আমরা তাকে ভোট দিবোনা। তাই তিনি নিজের আত্মীয় ও পরিবারের লোকজন রেখে এ তালিকা তৈরী করেছেন। এ বিষয়ে কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোঃ রিপন বেপারী, মোঃ আতিকুর রহমান অপুর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আওয়ামী লীগ পরিবার ও যারা নির্বাচনে নৌকার হয়ে কাজ করেছেন তাদেরকে কমিটি ও কাউন্সিলরদের নামের তালিকায় রাখতে বলা হলেও ২নং ওয়ার্ডসহ রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্বজনপ্রীতি করে তালিকা তৈরী করা হয়। কাউন্সিলরদের নামের তালিকা বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল হাসেম মোল্লা হাসুর কাছে জানার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।