নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া এলাকায় প্রায় ২শত পরিবার এখন বন্যার পানিতে বন্দি হয়ে পড়েছে। পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষা বাঘড়া ইউনিয়নের ১নং ও ৪নং ওয়ার্ডে তালুকদার বাড়ি নামক খালের ওপর স্থানীয় বাসিন্দা আজিজ খান, রুবেল খান, জব্বার, সাজেদা, রফিক মিয়া, খালেক, আব্দুল সাত্তার, রফিক, কামাল কাজী, ইউসুফ কাজী, আক্তার কাজীসহ অনেকেই খাল বাঁধ দিয়ে চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করায় বন্যার পানি এখন আবাসিক এলাকায় ঢুকে পড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে করোনা মোকাবেলায় নিম্নআয়ের মানুষগুলো পানিবন্দি হয়ে আরও বেকায়দায় পড়ে। এতে করে গত বৃহস্পতিবার ওই এলাকার পানিবন্দি পরিবারগুলোর কাছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে দেখা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তালুকদার বাড়ি খালটির বিভিন্ন স্থানে ২০-২৫টি বাঁধ দিয়ে রাখা হয়েছে। ওই বাঁধগুলো স্থানীয় বসতবাড়ির রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও কাঁঠাল াড়ির ইট সলিং রাস্তাটি ওই খালের ওপর দিয়ে নির্মাণ করায় খালে পানি চলাচলে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাঘড়া এলাকার তালুকদার বাড়ি নামক খালটি একদিকে পদ্মা নদী অপরদিকে সরাসরি আড়িয়ল বিলের সংযোগস্থল হিসেবে পরিচিত। এলাকার গুরুত্বপূর্ণ এই খালে ব্যক্তিস্বার্থে এসব বাঁধ দেয়ার কারণে খালে পানি প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। খালে পানির চাপ থাকায় এলাকার বিভিন্ন রাস্তা ও বসতবাড়িতে এখন পানি ঢুকে পড়ে। এতে করে বাঘড়া এলাকার প্রায় ২শত বসতবাড়ির উঠানে হাঁটু ও কোমড় পানি দেখতে পাওয়া গেছে। পানি বন্দি কয়েক হাজার মানুষ এখন চরম দুর্ভোগের শিকার। অন্যদিকে বাঘড়া বাজারেও বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় দোকানী ও স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। লক্ষ্য করা গেছে এলাকার প্রায় পাকা/কাঁচা রাস্তাই এখন পানির নিচে। বয়স্ক নারী পুরুষসহ শিশুরাও জামা কাপড় ভিজিয়ে প্রায় কোমড় পানি ভেঙে তারা প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করছেন। দুর্ভোগ লাঘবে বাড়িতে বাড়িতে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে স্থানীয়দের পারাপার হতে দেখা গেছে। স্থানীয়রা জানান, তালুকদার বাড়ি খালের ওপর একাধিক বাঁধ থাকায় হঠাৎ বন্যার পানি বন্দির শিকার হচ্ছেন তারা। পদ্মা নদীতে পানির চাপ বেশী থাকায় স্থানীয় খালের ওপরেও তার প্রভাব পড়েছে। যদি খালে বাঁধ না থাকতো, তাহলে তারা পানি বন্দি হয়ে পড়তোনা বলে অভিযোগ করেন। অপর একটি সূত্র জানায়, এলাকাবাসী খালের বাঁধ অপসারণের দাবী জানালে বাঁধ নির্মাণকারীদের তোপের মুখে পড়েন তারা। বাঘড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার সকালে ইউপি সদস্য আনোয়ার ও আক্কাসকে বাঁধ কাটার জন্য বলেছি। এ পর্যন্ত কয়েকটি বাঁধ কাটা হয়েছে। এছাড়াও জনসাধারণের চলাচলে ওই খালের ওপর একটি ইটের রাস্তা রয়েছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য ইউএনও স্যারের আদেশক্রমে রাস্তার কিছু অংশ কাটলে পানি আড়িয়ল বিলের দিকে চলে যাবে।
শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়ায় ২শত পরিবার বন্যার পানিতে বন্দি
আগের পোস্ট