নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগরে নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে চলছে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কার্যক্রম। এমনকি মহান বিজয়ের মাসেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেখা যায়নি। প্রতিষ্ঠানের মূল ভবনের চারপাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ নোংরা করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত দলিল সৃজন ও সেবা নিতে অসংখ্য মানুষ এখানে আসছেন। এ অবস্থায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
সাধারণ মানুষ মনে করছেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদাসীনতায় ভুয়া দলিল সৃজনের অপচেষ্টা, প্রতিষ্ঠান ভবনের আশপাশে যত্রতত্র ময়লা ফেলা ও প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার মত ঘটনা ঘটছে। তারা বলছেন, সঠিক তদারকি করা হলে এ প্রতিষ্ঠানে এসব অনিয়মের বিষয়গুলো পুনরাবৃত্তি হতো না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, কিছুদিন আগেও জাল জালিয়াতি করে একটি দলিল সৃজনের অপচেষ্টা করার অভিযোগ উঠে আব্দুর রশিদ মৃধা লিটন (সনদ নং-১৪৭) নামে এক দলিল লেখকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দলিল লেখক সমিতি তার সনদ বাতিলের সুপারিশ করে। এছাড়া চলতি বছরের মাঝামাঝি দিকে সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে সংশ্লিষ্ট দলিল লেখকরা কলম বিরতির ডাক দেন। পরে শ্রীনগর ইউএনও (তৎকালীন) প্রণব কুমার ঘোষের মধ্যস্থতায় আপোষ মিমাংসা হয়। এছাড়াও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে কার্যদিবসের বেশিরভাগ দিনই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না।
সরেজমিনে গিয়েও তার সত্যতা মিলেছে। দেখা যায়, সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের মূল ফটকের পাশে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বাঁশ থাকলেও তাতে পতাকা নেই। এছাড়াও ভবনটির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অসংখ্য ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ নোংরা করা হচ্ছে। এসময় উপস্থিত অনেকেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শ্রীনগর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ও ভেন্ডার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ সিকদারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাল-জালিয়াতি করে দলিল সৃজনে অপচেষ্টাকারী দলিল লেখকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে সুপারিশ করেছি। প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার প্রসঙ্গে তিনি এড়িয়ে যান।
শ্রীনগর সাব-রেজিস্ট্রার মোসাম্মৎ রেহেনা বেগমের কাছে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দেখে পতাকা টাঙ্গানোর জন্য বলে দিচ্ছি। আপনি কর্মস্থলে আছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আপনাকে পরে জানাচ্ছি বলে এড়িয়ে যান।