নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আনন্দ যেনো বিষাদে পরিণত না হয়, সেজন্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক সকলকে সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে। রবিবার জেলা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সভায় এ কথা বলেন তিনি। জেলা প্রশাসক নাহিদ রসুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। শিক্ষাঙ্গনে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বিদ্যালয় খুলে যাওয়ায় পাঠদান ও গ্রহণের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ সম্প্রসারণ করতে হবে। বিদ্যালয় খুলে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক সংযোগের ফলে যাতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি না পায় সেজন্য সকলকে সচেতন হতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আনন্দ যেনো বিষাদে পরিণত না হয়, সেজন্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক সকলকে সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধে মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, মামলার সংখ্যা দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির গতি-প্রকৃতি নির্ধারণ করা যাবে না। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করতে হবে। অপরাধের সূতিকাগার মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। জিরো টলারেন্স নীতিতে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলার অন্তর্গত নৌপথে তথা মেঘনা নদীতে ভাড়া না দেওয়ায় শিশুকে নদীতে নিক্ষেপের ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই ধরনের নরপিশাচদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, শিল্পায়নের ফলে মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে সড়ক দূর্ঘটনার সংখ্যাও বেড়ে গেছে। তার সাথে যুক্ত হয়েছে যানজটের দূর্ভোগ। সড়ক দূর্ঘটনা রোধ ও যানজট নিরসনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে।