নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে মুন্সীগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণ ও দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পহেলা বৈশাখে জনসমাগম সৃষ্টি না করে ঘরে বসেই বাঙালির চিরায়ত আচার অনুষ্ঠান উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে পালন করার জন্য সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, শতভাগ সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বৈশি^ক মহামারী করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলাই হোক এবারের বাংলা বর্ষবরণের আহ্বান। ১৪২৭ বঙ্গাব্দ সকলের জীবনে মঙ্গল ও কল্যাণ বয়ে আনুক।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। বাঙালির সর্ববৃহৎ সার্বজনীন সাংস্কৃতিক উৎসব। বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য সমৃদ্ধ আচার অনুষ্ঠান ও ব্যাপক সাজ-সজ্জার মধ্য দিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়। কিন্তু বাংলা নববর্ষ এবার এমন এক সময়ে উপস্থিত হয়েছে যখন ভয়ানক প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিপর্যস্ত বিশ^বাসী। আমাদের বাংলাদেশও এর প্রভাব মোকাবেলায় নিরন্তন প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অতিমাত্রার সংক্রামক করোনা ভাইরাসের কোন প্রতিকার বা প্রতিষেধক না থাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মধ্য দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে এবং সব ধরনের জনসমাগমকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই এবার পহেলা বৈশাখে জনসমাগম সৃষ্টি না করে ঘরে বসেই বাঙালির চিরায়ত আচার অনুষ্ঠান উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে পালন করার জন্য সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, শতভাগ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বৈশি^ক মহামারী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলাই হোক এবারের বাংলা বর্ষবরণের আহ্বান। ১৪২৭ বঙ্গাব্দ সকলের জীবনে মঙ্গল ও কল্যাণ বয়ে আনুক।
তিনি বলেন, আসুন প্রাণঘাতী মহামারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধ যুদ্ধে নিজেকে একজন সচেতন ও সুদক্ষ সৈনিক হিসেবে গড়ে তুলি। সমাজের সকলেই একসাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মধ্য দিয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের গতি রোধ করি।