নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন- সন্ত্রাস ও উগ্রবাদী সকল অপশক্তিকে রুখে দিয়ে বাংলাদেশ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে উন্নয়ন-অগ্রগতি, শান্তি-সমৃদ্ধি ও কল্যাণের পথে এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রসরমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রেখে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ও উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভা ও পঞ্চসার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে খাদ্য বিবতরণ ও আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। মিরকাদিম পৌরসভার নৈয়দীঘির পাথর, পুকুরপাড়া, মিনাপাড়া এবং পঞ্চসার চর মুক্তারপুর এলাকার ৪টি স্থানে সহস্রাধিক মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ করেন তিনি। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, মিরকাদিম পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুর রহিম বাদশা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম মেম্বার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আল-আমিন দেওয়ান, পঞ্চসার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান, মুন্সীগঞ্জ শিল্পাঞ্চল আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল কাশেম, প্যানেল মেয়র আওলাদ হোসেন, কাউন্সিলর সোহেল মিয়া, আক্তার চৌধুরী, মো. লিটন, মিরকাদিম পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সেকান্দার হোসেন প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বাংলা বাঙালি বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। শেখ মুজিব মানেই বাংলাদেশ। বাঙালি জাতির চেতনার ধনমীতে প্রবাহিত শুদ্ধতম নাম শেখ মুজিব। তিনি চিরন্তন- চিরঞ্জীব ; স্বাধীনতা ও মুক্তির মূর্ত প্রতীক, বাঙালির কণ্ঠে উচ্চারিত শব্দের প্রাণশক্তিÑ প্রত্যেকটি বর্ণমালার জাগরণী চেতনা। মুক্তিকামী মানুষের স্লোগানের নাম শেখ মুজিব। তিনি বাঙালি জাতির স্বাধীনতা নামক মহাকাব্যের মহানায়ক, পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্তির মহান পথ প্রদর্শক, আবহমান বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ। তিনি বাঙালির অসীম সাহসীকতার প্রতীকÑ সমগ্র বাঙালি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বীর। তিনি বিশ্বের শোষিত ও মুক্তিকামী মানুষের অকৃত্রিম সুহৃদ, বৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াকু বীরসেনানী, জোট-নিরপেক্ষ তৃতীয় বিশ্বের অনন্য প্রবক্তা নিরস্ত্রীকরণে বিশ্বাসী শান্তির দূত, আমাদের অন্তহীন প্রেরণার উৎস, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মহান স্থপতি, বাঙালি জাতির বিমূর্ত ইতিহাস, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নদ্রষ্টা। এ নামকে যেমনি জোর করে প্রতিষ্ঠা দেবার প্রয়োজন পড়ে না, তেমনি জোর করে মুছে দেওয়াও সম্ভব হয় না।
তিনি বলেন, খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু ও বাঙালি জাতির অবিভাজ্য সম্পর্কের কোন পরিসমাপ্তি নেই। বাংলা ও বাঙালি যতদিন থাকবে, এই পৃথিবী যতদিন থাকবে, পৃথিবীর ইতিহাস যতদিন থাকবে তিনি একইভাবে প্রজ্জ্বলিত হবেন প্রতিটি বাঙালি হৃদয়েÑ প্রতিটি মুক্তিকামী-শান্তিকামী মানবতাবাদী হৃদয়ে। বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন চিরকাল বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করবেÑ পথ দেখাবে। বাঙালি জাতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসায় বাংলাদেশের ইতিহাস বিনির্মাণের কালজয়ী এ মহাপুরুষকে চিরকাল স্মরণ করবে। যত বাধা-বিঘ্ন, ষড়যন্ত্র-চক্রান্তই আসুকনা কেন বাংলাদেশ তার কাক্সিক্ষত অভিষ্ট থেকে সরে আসবেনা। সন্ত্রাস ও উগ্রবাদী সকল অপশক্তিকে রুখে দিয়ে বাংলাদেশ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে উন্নয়ন-অগ্রগতি, শান্তি-সমৃদ্ধি ও কল্যাণের পথে এগিয়ে যাবে। বাঙালি জাতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসায় বাংলাদেশের ইতিহাস বিনির্মাণের কালজয়ী এ মহাপুরুষকে চিরকাল স্মরণ করবে।
তিনি বলেন, বাঙালির আদর্শ পুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বর্তমান প্রজন্মের মন-মননে চিন্তা-চেতনে আদর্শ-অনুপ্রেরণে চেতনায়-জাগরণে প্রদীপ্ত শিখারূপে প্রবাহমান। ক্ষণজন্মা এই মহামানবের স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে তাঁরই নির্দেশিত পথ ধরেই এগিয়ে যাবার দৃপ্ত শপথে বাঙালি জাতি আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, বাঙালির আশা-আকাক্সক্ষা প্রত্যয় ও প্রত্যাশার বিশ^স্ত ঠিকানা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রসরমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রেখে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ও উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
সকল অপশক্তিকে রুখে দিয়ে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে এগিয়ে যাবে – অ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস এমপি
আগের পোস্ট